নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণে শতভাগ কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে বিশেষ করে বয়স্ক বা প্রযুক্তি না বোঝা ভোটারদের নিয়ে বাধছে বিপত্তি। আঙুলের ছাপ না মেলা বা মেশিন ব্যবহার না বোঝার কারণে ভোট প্রদানে অনেক সময় লাগছে। এতে বুথের বাইরে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
এই সমস্যা নিরসনে কেন্দ্রে ডামি ইভিএমে তাৎক্ষণিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভোটাররা ডামি ইভিএম মেশিনে দেখার পর গোপন কক্ষে গিয়ে নিজেদের ভোট দিচ্ছেন।
নারায়ণগঞ্জ শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের আইইটি উচ্চবিদ্যালয়ের একটি নারী কেন্দ্রে এমনই চিত্র দেখা যায়।
নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রায় সব কটি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের আগে ইভিএমে ভোট প্রদানের নির্দেশিকা দেওয়া রয়েছে। তবে এরপরেও বুথে প্রবেশ করে ভোট প্রদানে দীর্ঘ সময় নিতে ও বিভ্রান্ত হতে দেখা গেছে। অনেক ক্ষেত্রে সহায়তার জন্য পোলিং অফিসারকে এগিয়ে যেতে হয়েছে।
তবে আইইটি স্কুলের নারী ভোটকেন্দ্রের চিত্র ব্যতিক্রম। ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেশিনের পাশেই রাখা হয়েছে ডামি ইভিএম মেশিন। সেখানে যাঁরা তুলনামূলক বয়স্ক এবং মেশিনারি কার্যক্রমে অনভিজ্ঞ, তাঁদের জন্য সহায়ক হিসেবে কাজ করছে।
পোলিং অফিসার সানজিদা আক্তার বলেন, ‘ইভিএমে ভোট দিতে বয়স্ক নারীদের বেশি সমস্যা হচ্ছে। তাঁরা বিষয়টি বুঝে উঠতেই অনেক ক্ষেত্রে কয়েক মিনিট সময় নিয়ে নেন। সেই বিবেচনায় আমাদের সামনেই ইভিএমের ডামি রেখেছি। এখান থেকে বুঝে নেওয়ার পর সহজেই ভোট দিতে পারবেন ভোটাররা।’