গাজীপুরের টঙ্গীতে আট বছর বয়সী এক মেয়েশিশুকে দত্তক নিয়ে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে পালক মায়ের বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার সকালে টঙ্গীর জামাই বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর নির্যাতিত শিশুটিকে উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে দুপুরে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত পালক মা শাহিনুর বেগমকে (৩৬) আটক করেছে। তিনি টঙ্গীর পূর্ব আরিচপুর জামাই বাজার এলাকার মাহবুবুর রহমান লিটনের স্ত্রী।
পুলিশ জানান, প্রায় চার বছর আগে ওই মেয়েশিশুটিকে দত্তক নেন শাহিনুর বেগম ও তাঁর স্বামী লিটন। কয়েক বছর বেশ আদর-যত্নে লালিত-পালিত হলেও কয়েক মাস যাবৎ শিশুটিকে মারধর করতেন পালক মা শাহিনুর। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে ফের মারধর ও শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাচের টুকরা দিয়ে আঘাত করেন শাহিনুর। এতে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে রাতেই টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে মঙ্গলবার দুপুরে শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মামুনুর রশিদ বলেন, সোমবার দিবাগত রাতে অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতালে আনা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শিশুটির কোমরে জখমের চিহ্ন রয়েছে।
নির্যাতিত শিশুর মামা আল আমিন বলেন, ‘শাহিনুর ও তাঁর স্বামী লিটন চার বছর আগে দত্তক নেন আমার ভাগনিকে। কয়েক মাস যাবৎ ভাগনিকে মারধর করছেন। আজ মারধরের খবর পেয়ে এসেছি। আমরা মামলা করব।’
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত শাহিনুরকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।