বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয়ে বিএনপির বৈঠকে বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাঁকে সাভার থেকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজ বিকেলে নিশ্চিত করেছেন ডিবি পুলিশের প্রধান হারুন অর রশীদ।
মিথ্যা পরিচয় দিয়ে অন্যের রূপধারণ করে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে পল্টন থানার দায়ের হওয়া মামলায় অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাসান সারওয়ার্দীকে আদালতে পাঠানো হবে। এই মামলায় এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফীকে (মিয়া আরেফী) কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত রোববার রাতে গোপালগঞ্জের বাসিন্দা মহিউদ্দিন শিকদার রাজধানীর পল্টন থানায় মামলাটি করেন। মামলায় আরেফী ছাড়াও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন ও হাসান সারওয়ার্দীকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২৮ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভ থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। বিএনপি নেতা-কর্মীরা প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, সরকারি স্থাপনা ও সরকারি গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে।
একপর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বেলা ৩টার দিকে মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন। বিএনপির এই কর্মকাণ্ডের পরবর্তী সময়ে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শনিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে অন্তত ২০ জন নেতা-কর্মী বেশকিছু সংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন।
তখন এক নম্বর আসামি মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী ওরফে মিয়া আরেফী নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেন। উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে আরেফী জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেন। ২৮ অক্টোবর বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয়ে বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী। পরে রোববার বিমানবন্দর থেকে তাঁকে আটক করে ডিবির হাতে তুলে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে (অবসরপ্রাপ্ত) মিথ্যাচার ও ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগে সেনাবাহিনীতে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা হয়েছিল।