ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনকে এক সপ্তাহের মধ্যে ভারতে যেতে বলেছে দেশটির অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। নিহত আনোয়ারুলের মরদেহ শনাক্তের জন্য তাঁর ডিএনএ প্রোফাইল করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এমপি আনোয়ারুলের ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুর রউফ আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ভারতের সিআইডির এক কর্মকর্তা ডরিনকে ফোন করেন। ডরিনকে ডিএনএ নমুনা দিতে এক সপ্তাহের মধ্যে ভারতে যাওয়ার জন্য যেতে বলেছে। এর আগে ভারতের আদালত থেকে এ বিষয়ে দেশটির পুলিশ অনুমতি নেয়। বিষয়টি ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগকে জানিয়েছেন ডরিন। ঢাকার ডিবির একটি দলের সঙ্গে তাঁদের দ্রুত ভারতে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
এদিকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুল করিম মিন্টু রিমান্ড শেষ হওয়ার আগেই গত ১৬ জুন তাঁকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর রিমান্ড শেষ হওয়ার পাঁচ দিন আগেই তাঁকে কারাগারে পাঠায় আদালত। আদালতে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। যদিও তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। তবে তাঁকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। রিমান্ড শেষ হওয়ার আগেই তাঁকে কারাগারে পাঠানো নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এর আগে গত ১৩ জুন সাইদুলকে আট দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। কিন্তু তিন দিন পরেই তাঁকে রিমান্ড শেষে আদালতে পাঠানো হয়।
গত ১১ জুন রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে মিন্টুকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। এরপর তাঁকে ডিবি অফিসে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ১৩ জুন তাঁকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এই মামলায় শিমুল ভূঁইয়া, তাঁর ভাতিজা তানভীর ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান ও ঝিনাইদহের আরেক আওয়ামী লীগ নেতা কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা চারজনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ২২ মে সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আনোয়ারুল আজীম খুন হওয়ার খবর আসে। এরপর তাঁর মেয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণের পর গুম করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।