স্কয়ার, অপসোনিন, ইনসেপ্টার মতো কোম্পানির ওষুধ নকল করে নীলফামারীর সৈয়দপুরের বেনামি বিভিন্ন কারখানায় ইচ্ছেমতো তৈরি করা হয় ভেজাল ওষুধ। এর মধ্যে সব থেকে বেশি আছে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের গ্যাসের ওষুধ। এসব ওষুধ প্রত্যন্ত এই উপজেলা শহর থেকে আসে ঢাকায়। বিক্রি হয় রাজধানীর বড় বড় ফার্মেসিগুলোতে। এমন ৩ লাখ পিচ ভেজাল ওষুধসহ বাজারজাতকারী চক্রের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগ।
গত মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে এসব ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বাজারজাতকারী মো. ইকবাল হোসেন ওরফে রানাকে (৩৬) গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগ। এ সময় তার কাছে থেকে তিন লাখ পিচ ভেজাল ওষুধ জব্দ করা হয়। এর মধ্যে পেনটনিক্স ২০ এমজি ২৫ হাজার ৪৮০ পিচ, সেকলো ২০ এমজি ৩৬ হাজার পিচ, সারজেল ২০ এমজি ৯২ হাজার পিচ, ফিনিক্স ২০ এমজি ১ লাখ ৮ হাজার ৫০০ পিচ, লোসেক্টিল ২০ এমজি ৩৬ হাজার পিচ ও ইটোরিক্স ৫ হাজার ৪০০ পিচ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুণ অর রশীদ।
হারুণ অর রশীদ বলেন, ‘মঙ্গলবার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মতিঝিল ডিআইটি এক্সটেনশন রোডের হোটেল হাসান ইন্টারন্যাশনালের সামনে মো. ইকবাল হোসেন ওরফে রানাকে একটি ওষুধের কার্টুনসহ আটক করা হয়। কার্টুনের ভেতর কি আছে জানতে চাইলে সে জানায় কার্টুনে ওষুধ আছে। কার্টুন খুলে তার ভেতর থেকে কিছু ভেজাল ওষুধ পাওয়া যায়। এরপর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এসএ পরিবহন ইংলিশ রোড শাখা থেকে দুই কার্টুন ভেজাল ওষুধ উদ্ধার করা হয়।’
রানাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিবি প্রধান জানান, নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের মো. আতিয়ারের থেকে বিভিন্ন পরিবহনে পার্সেলের মাধ্যমে এসব ওষুধ সংগ্রহ করে কুমিল্লা শহরের স্টেশন রোড এলাকায় গোডাউনে সংরক্ষণ করেন তিনি। তারপর সময় ও সুযোগ বুঝে রানা নিজে ও বিভিন্ন পরিবহনে পার্সেলের মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব ভেজাল ওষুধ বাজারজাত করে।
এই ভেজাল ওষুধ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকারী চক্রের অন্যান্য সদস্যদের আইনের আওতায় আনার জন্য অভিযান চলছে। গ্রেপ্তার রানার বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।