একই জমিতে দুই-তিন ফসল চাষে একদিকে যেমন খরচ কমছে, তেমনি মিলছে বেশি ফসল। তাই মুনাফাও হয় বেশি। ফলে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মিশ্র চাষ পদ্ধতি। নতুন করে উৎসাহিত হচ্ছেন অনেক চাষি। এভাবে গ্রামের পর গ্রাম ছড়িয়ে পড়ছে এই চাষ পদ্ধতি। এবারও মিশ্র আবাদে ভালো লাভ করবেন বলে আশা করছেন কৃষকেরা।
বর্তমানে উন্নত জাতের আলু চাষাবাদ করেছেন কৃষকেরা। আলুর সঙ্গে সাথি ফসল হিসেবে তাঁরা বেশি চাষ করছেন মিষ্টি কুমড়া, ধনে পাতাসহ অন্যান্য ফসল। আগাম মিশ্র আবাদের শসা, করলাসহ সবজি বাজারে বিক্রি করছেন এখন অনেক চাষি।
জেলা কৃষক সমিতির সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মিশ্র আবাদ। উপজেলার সাত ইউনিয়নের কৃষকেরাই এখন মিশ্র আবাদে ঝুঁকছেন। এতে এক খরচে দুই ফসল আবাদে লাভের মুখ দেখছেন প্রান্তিক কৃষকেরা। হচ্ছেন অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী।
বালিয়াখোড়া গ্রামের কৃষক উজ্জ্বল মিয়া বলেন, ৬৬ শতাংশ জমিতে আলুর চারা রোপণ করছি। খরচ হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। সাথি ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়ায় বাড়তি আয় হয়।
গাংডুবী নতুনপাড়া গ্রামের কৃষক রফিকুল বলেন, বাজারে যার আলু যত আগে উঠবে, তার লাভ তত বেশি। তাই আগেভাগেই আলু আবাদ করছি। জমির আইল বরাবর ধনেপাতা ও ওপরে মাচা করে শিম, শসা, লাউ ও বরবটি গাছ রোপণ করেছি। ইতিমধ্যে শসা বাজারে বিক্রি করে ভালো দাম পাচ্ছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলায় আলু আবাদ হয়েছে ৪৬০ হেক্টর জমিতে। এর সঙ্গে ৭০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়া এবং ৪০ হেক্টর জমিতে অন্যান্য সবজির মিশ্র আবাদ হয়েছে। একই জমিতে মিষ্টি কুমড়া, ধনেপাতাসহ অন্যান্য ফসলের মিশ্র আবাদ করে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। মিশ্র আবাদে কম খরচে ভালো ফলন পাওয়ার জন্য মাঠে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি।’