হোম > সারা দেশ > ঢাকা

বিমানে চাকরি দেওয়ার নামে কোটি টাকা আত্মসাৎ: গ্রেপ্তার ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা: দেওয়া হয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য নেওয়া হয় নিয়োগ পরীক্ষাও। ভুয়া বিমানের চেয়ারম্যান, পরীক্ষক থেকে বিমানবালা সবই থাকত। আর্থিক সামর্থ্য যাচাই করে কয়েকজনকে পরীক্ষায় অকৃতকার্য করা হয়। পরবর্তীতে অকৃতকার্যদের টাকার বিনিময়ে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হয় কোটি কোটি টাকা। এমন চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-শামীম আহমেদ, তানজীলা, বজলু রশিদ ও শরিফুল ইসলাম।

আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক বলেন, শামীম নিজেকে বিমানের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবার কখনো এমডি দাবি করেন। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে ফরমাল শার্ট, প্যান্ট, স্যুটসহ মোবাইল এবং ভুয়া নিয়োগপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বিমানে চাকরি দেওয়ার নামে প্রায় ৮০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন

তিনি বলেন, বিমানের একটি বিভাগে সহকারী পরিচালকের চাকরির জন্য শামীমকে ২০১৯ সালে সাড়ে ১৩ লাখ টাকা দিয়েছেন একজন ব্যক্তি। তিনি প্রতারিত হয়ে এ বিষয়ে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আরও অনেকেই চক্রের কাছে প্রতারিত হয়েছেন।

গ্রেপ্তার হওয়া শামীমের ব্যাপারে ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক জানান, দীর্ঘদিন আগে শামীম একটি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। সেই সূত্রে তাঁর বিমানবন্দরের বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় ছিল। সেখান থেকেই তিনি প্রতারণার কৌশলগুলো জেনে চাকরি ছেড়ে দেন। শুরু করেন প্রতারণা।

শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সিআইডির পক্ষ থেকে বলা হয়, বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে শামীমের যোগাযোগ রয়েছে। এর আগে সে বেশ কয়েকজনকে বিমানের কেবিন ক্রু, এক্সিকিউটিভ অফিসার, সিগন্যাল ম্যান, চেকিং অফিসার, এক্সিকিউটিভ ম্যানেজার পদে অনেককে চাকরি দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন।

বিমানের ভুয়া বিমানবালা তানজীলার ব্যাপারে সিআইডি জানায়, তিনি শামীমের সহযোগী। লোকজনকে চাকরি দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নিত। তানজীলা নিজেকে এয়ার হোস্টেস বোঝানো জন্য তার ফেসবুক পেজে কেবিন ক্রু’র পোশাক পড়ে ছবি দিতেন। তাকে ঢাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে শামীমের সঙ্গে থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী না।

গ্রেপ্তার হওয়া বজলুর রশিদের ব্যাপারে সিআইডি কর্মকর্তা অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক বলেন, সেনাবাহিনীর সৈনিক বজলুর র‍্যাবে কর্মরত ছিলেন। ২০০৭ সালে একটি ডাকাতির মামলায় তাকে চাকরিচ্যুত করে জেলে পাঠানো হয়। ৮ বছর জেল খেটে তিনি বের হয়ে এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যোগ দেন। প্রতারণা চক্রে বজলুর রশিদ চেয়ারম্যানের বডিগার্ড দাবি করতেন।

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি সম্মিলিত নারী প্রয়াসের

শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের অবরোধ থেকে ‘খেলনা পিস্তলসহ’ যুবক আটক

হাদি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সালের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা

হাদি হত্যাকাণ্ড: ফয়সালকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে গ্রেপ্তার রাজুর স্বীকারোক্তি

সুপারিশের তিন মাস পেরোলেও যোগদান হয়নি ৩৫০০ চিকিৎসকের

শাহবাগে আবারও ইনকিলাব মঞ্চের অবরোধ

হাজারীবাগে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ, পুলিশ বলছে পটকা

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

মাকে দেখতে মাঝরাতে হাসপাতালে তারেক রহমান

ভারতীয়দের ওয়ার্ক পারমিট বাতিলসহ ৪ দফা দাবি ঘোষণা করল ইনকিলাব মঞ্চ