রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে ছেলের সামনে ট্রেনের ধাক্কায় আহত হয়ে হাসপাতালে মারা গেছেন লাইলী বেগম (৪০) নামে এক নারী। ছেলেকে নিয়ে লালমনিরহাটে নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকেরা রাত দেড়টার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হারুন অর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহত নারীর স্বামীর নাম জাহাঙ্গীর আলম। তাঁরা নারায়ণগঞ্জের একটি এলাকায় থাকেন। তাদের গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটে।
হারুন অর রশিদ আরও জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে লাইলী বেগম তাঁর ছেলে মো. হৃদয় হোসেনকে নিয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে লালমনিরহাটগামী লালমনি এক্সপ্রেসে চলন্ত অবস্থায় ওঠার চেষ্টা করেন। ওই সময় পা পিছলে পড়ে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন লাইলী বেগম। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যান তিনি।
এসআই হারুন অর রশিদ জানান, স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
লাইলী বেগমের স্বামী জাহাঙ্গীর আলম জানান, তাঁদের বাড়ি লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানার ডাঙ্গীরপার গ্রামে। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার তল্লা এলাকায় থাকেন। তিনি পেশায় ভ্যানচালক। তাঁদের তিন ছেলে আছে। গত রাতে বড় ছেলে হৃদয়কে নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন লাইলী।