ট্রাকের মেঝেতে ত্রিপল বিছানো, মাথার ওপর নেই কোনো ছাউনি। তীব্র রোদ আর ভ্যাপসা গরমকে উপেক্ষা করে ট্রাকেই ঈদযাত্রা শুরু করছেন অনেকে। বাসের চেয়ে তুলনায় ভাড়া কম হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ ঝুঁকছেন ছাদখোলা ট্রাক ও পিকআপে। নারী ও শিশুরাও আছেন যাত্রীর তালিকায়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভারের বাইপাইল এলাকায় উত্তরবঙ্গমুখী সড়কে দেখা মিলে ট্রাকে যাত্রী পরিবহনের এমন দৃশ্য। শিল্পাঞ্চল সাভারের কারখানাগুলোর বেশির ভাগ আজ থেকেই ছুটি শুরু হওয়ায় বাড়ছে ভিড়।
বাসের ভাড়া বেশি তাই বাধ্য হয়েই ট্রাকে উঠছেন বলে দাবি যাত্রীদের। কথা হয় ট্রাকের যাত্রী আশরাফুল আলমের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, যাব সিরাজগঞ্জ। বাসে ভাড়া কেউ চাচ্ছে ৮০০ কেউ ১০০০। তাই ট্রাকেই উঠলাম। গরম বেশি হলেও কিছু করার নাই। ভিড় আস্তে আস্তে বাড়ছে। তার আগেই রওনা দিলাম।
স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ট্রাকে উঠেছেন দিনমজুর হাবিব মিয়া। তারও গন্তব্য সিরাজগঞ্জে। এই গরমে ট্রাকে কেন উঠছেন জিজ্ঞেস করতেই আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, বউ পোলাপানসহ আমরা ৪ জন। এতগুলো মানুষ বাসে যেতে চাইলে অনেক টাকা দরকার। এর চেয়ে ভালো ট্রাকেই চলে যাই। ছাতা আছে সঙ্গে, রাস্তাতেও শুনেছি জ্যাম নেই। সিরাজগঞ্জ যেতে তো বেশিক্ষণ লাগবে না। আল্লাহ দিলে কিছুই হবেনা...।
পান বিক্রেতা হলেও ঈদকে ঘিরে হাত পাখার ব্যবসা শুরু করেছেন সাইফুল। ট্রাকের যাত্রীদের কাছে ফেরি করে হাতপাখা বিক্রি করছেন তিনি। সাইফুল বলেন, যে গরম পড়েছে মানুষের তো অবস্থা খারাপ। তাই ভাবলাম পাখা বিক্রি করব। সকালে ১০০ টা পাখা কিনেছি। আর অল্প কয়েকটা আছে। অল্প সময়ে মানুষের উপকারও হল, আমার কিছু লাভও ভালো।
গতকাল থেকেই সাভার ও আশুলিয়ার পোশাক কারখানাসহ অন্যান্য কারখানা ধাপেধাপে ছুটি হওয়া শুরু করে। সে কারণে গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে ইদযাত্রা। তবে আজ বৃহস্পতিবার বেশির ভাগ কারখানা দুপুর থেকে ছুটি হওয়ায় ভিড় বাড়তে শুরু করেছে সড়কে।