হোম > সারা দেশ > ঢাকা

৪ হাজার প্রবাসীর স্মার্টকার্ড অবৈধভাবে তৈরি করেন বিএমইটির ২ কর্মচারী, দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমিকদের জন্য নিয়ম বহির্ভূতভাবে স্মার্টকার্ড তৈরির দায়ে বিএমইটির সিস্টেম এনালিস্ট মো. সাইদুল ইসলাম ও সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. সাইফুল ইসলামের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

আজ মঙ্গলবার দুদকের সহকারী পরিচালক রণজিৎ কুমার কর্মকার বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা ১-এ মামলাটি করেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 
 
সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা নির্ধারিত আবেদনের বাইরে জালিয়াতির মাধ্যমে অতিরিক্ত ৩ হাজার ৯৭৮টি স্মার্টকার্ড বিএমইটি কর্তৃক অবৈধভাবে ইস্যু করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। তাই দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। 
 
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আসামিরা অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করে অন্যকে লাভবান ও নিজে লাভবান হওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে নিয়োগ অনুমোদনের অতিরিক্ত ডাটা এন্ট্রি দিয়ে পরস্পরের যোগসাজশে অতিরিক্ত স্মার্টকার্ড ইস্যুপূর্বক অপরাধ করেছেন। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশে কর্মী নিয়োগের অনুমতি দেওয়ার পর এর কপি জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে (বিএমইটি) যায়। বিএমইটির ইমিগ্রেশন ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারে অনুমোদিত কর্মীর সংখ্যা এন্ট্রি দেওয়া হয়। রিক্রুটিং এজেন্সি বহির্গমন ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করলে, বহির্গমন/কল্যাণ ফিসহ অন্যান্য ফি ও পে-অর্ডার ও চালান কপি জমা নেওয়া হয় এবং সফটওয়্যার সিস্টেমে এ এন্ট্রি দেওয়া হয়। 
 
মামলার এজাহারে বলা হয়, স্মার্টকার্ডের জন্য বিএমইটির সফটওয়্যারে পারমিট নম্বর দিয়ে রাইট করার অনলাইন অনুমতি নিতে হয়। অনলাইনে পারমিট সাকসেসফুলি দেখানোর পর ক্লিয়ারেন্স ফরমে এ রাইট নম্বর লেখা হয়। ডেস্ক সহকারী ও সহকারী পরিচালকের স্বাক্ষরসহ ডাটা এন্ট্রি শাখায় প্রেরণ করা হয়। ওই শাখার সফটওয়্যারে এ কর্মীদের তথ্যাদি এন্ট্রি দেওয়া হয়। পারমিট নম্বরে রাইট নম্বরে উল্লিখিত কর্মীর সংখ্যার সমপরিমাণ কর্মীর তথ্য এন্ট্রি দেওয়া যায়, এর বেশি এন্ট্রি দেওয়া যায় না। 
 
দুদকের অনুসন্ধান থেকে জানা যায়, আটটি রিক্রুটিং এজেন্সিসমূহের নামে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ১২ মে পর্যন্ত সময়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত নিয়োগ অনুমতির সংখ্যা ২ হাজার ৯৬০। কিন্তু বিএমইটির ইমিগ্রেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যার থেকে স্মার্ট ইস্যু করা হয়েছে ৬ হাজার ৯৩৮ টি। অর্থাৎ অতিরিক্ত আরও ৩ হাজার ৯৭৮টি স্মার্ট বিএমইটি কর্তৃক অবৈধভাবে ইস্যু করা হয়েছে। 

রিক্রুটিং এজেন্সিসমূহের ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন সময়ে গৃহীত গ্রুপ বহির্গমন ছাড়পত্রের সংখ্যার সঙ্গে বিএমইটির ওয়েব সাইটে উল্লিখিত ক্লিয়ারেন্স রিপোর্টে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জন্য গ্রুপে ইস্যুকৃত বহির্গমন ছাড়পত্রের সংখ্যায় তারতম্য দেখতে পায় দুদক। এছাড়া অনেক সংখ্যা এডিট ও ডিলিট করে কমানো হয়েছে এবং মন্ত্রণালয় থেকে প্রদানকৃত নিয়োগ অনুমতির সংখ্যার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার চেষ্টার প্রমাণ পেয়েছে তারা। 

দুদকের ঊর্ধ্বতন এক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিএমইটির ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারের এডিট, ডিলিট করে করে নথিতে মিথ্যা তথ্য, ভুল তথ্য উপস্থাপন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে অবৈধভাবে বহির্গমন ছাড়পত্র ইস্যু করা হয়েছে। সফটওয়্যারের ডেটাবেইসে একমাত্র এক্সেস ছিল বিএমইটির সিস্টেম এনালিস্ট মো. সাইদুল ইসলাম ও সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. সাইফুল ইসলামের কাছে।

শহীদ জিয়ার কবরের পূর্ব পাশে খোঁড়া হচ্ছে নতুন কবর

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

রাষ্ট্রীয় শোক: ঢাকায় ৩ দিন আতশবাজি, পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ

খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে বাড়ানো হলো মেট্রোরেলের ট্রিপ

হাদি হত্যা মামলা: সিবিউন-সঞ্জয়ের তৃতীয় দফায় রিমান্ড, ফয়সাল নামে আরও একজন রিমান্ডে

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাবিতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের কালো ব্যাজ ধারণ

রাজধানীর রামপুরায় অটোরিকশার ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু

গয়েশ্বর চন্দ্রের আসনে বিএনপির বিদ্রোহী তিন বড় নেতাসহ ১৬ প্রার্থী, শক্ত লড়াইয়ের আভাস

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর শুনে এভারকেয়ারের সামনে ভিড়, পুলিশের ব্যারিকেড

হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার উদ্‌যাপন