রাজধানীর বাড্ডা থেকে দুই বছর বয়সী এক শিশুকে অপহরণ ও দশ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় মুক্তা আক্তার সুমাইয়া (৪৫) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে বাড্ডা থানা-পুলিশ। আজ সোমবার ভোরে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার ও শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
শিশু মরিয়মকে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শিশুটিকে উদ্ধার অভিযানে থাকা বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, এই নারী দীর্ঘ দিন থেকে শিশু চুরি, অপহরণ ও ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত। তিনি মানুষের বাসা-বাড়িতে বুয়া হিসেবে ঢুকে এসব অপকর্ম করেন। আবার কখনো কখনো দীর্ঘদিন থেকে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে তাঁদের শিশু সন্তান চুরি করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন এসব কথা এবং তাঁর সঙ্গে আরও অনেকেই যুক্ত। আমরা তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি।
বাচ্চা ফিরে পাওয়ার পর তাঁর মা রিমা বিবি বলেন, ‘আমরা প্রায় দশ বছর সাজেদা ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছি। কখনোই বুঝতে পারিনি তাঁর মনে এসব আছে। গত শনিবার রাতে সে আমার বাসায় আসে এবং রাতে আমাদের সঙ্গে থাকেন। পরদিন সকালে আমার মেয়েকে পাউরুটি কিনে দেওয়ার কথা বলে যায় আর আসে নাই। তারপর দুপুরের দিকে আমার স্বামীর নম্বরে ফোন করে ১০ হাজার টাকা চায়। না দিলে মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ফোন বন্ধ করে রাখে। আমরা থানায় জিডি করি পুলিশ চারপুর থেকে আমাদের মেয়েকে উদ্ধার করে দেয়।’
এ বিষয়ে ডিএমপির গুলশান বিভাগের বাড্ডা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহা বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে বাড্ডা থানার একটি টিম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে অভিযান চালিয়ে অপহরণের সঙ্গে জড়িত সুমাইয়াকে গ্রেপ্তার করে। সুমাইয়াকে বাড্ডা থানায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সুমাইয়া পেশাদার শিশু চোর চক্রের সদস্য। সে বিভিন্ন শিশুকে টার্গেট করে কৌশলে চুরি করে নিয়ে যায়। অনেক সময় ছোট শিশুদের বিক্রি করে দেয়। আবার কখনো জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করার তথ্য পাওয়া গেছে। বিষয়টি আমার তদন্ত করছি।’