মঙ্গলবার, ভোর ৪টা বেজে ৫৪ মিনিট। রাজধানীর জাহাঙ্গীর গেট থেকে মহাখালী মোড়ে যাওয়ার রাস্তা। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, রাওয়া ক্লাবের সামনে দিয়ে পার হয় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা। কিছুক্ষণ পরেই একটি প্রাইভেট কার ফ্লাইওভারের গায়ে ধাক্কা খায়। দেখা যায় আগুনের ফুলকি। ছয়বার ডিগবাজি খায় গাড়িটি। থেমে যাওয়ার আগে গাড়ি থেকে দুজনকে ছিটকে পড়তে দেখা যায়।
জানা যায়, সেই গাড়িতে আরোহী ছিলেন মোট সাতজন।
পুলিশ জানিয়েছে, মহাখালীতে ওই দুর্ঘটনায় ফাহমিদ আহমেদ রায়হান (১৯) ও আয়মান (২২) নামে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দুজন। নিহত আয়মান কর্নেল (অব.) ওমর ফারুকের ছেলে। রায়হান বেসামরিক পরিবারের সন্তান। আহত দুজন হলেন- স্বাধীন আহমেদ (১৯) ও চালক মহসিন (২২)। স্বাধীন সদ্য অবসরে যাওয়া পদস্থ এক সেনা কর্মকর্তার ছেলে। আর মহসিন (২২) গাড়িটির বেতনভুক্ত বেসামরিক চালক। বাকি আরোহীদের খোঁজ মিলছে না। তাঁদের পরিচয়ও জানা যায়নি।
কাফরুল থানার ওসি হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য মহাখালীতে ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ (সাবেক আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতাল) ভর্তি করেন। পরে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর সকালে ঢাকা সিএমএইচের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের মরদেহ সিএমএইচ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। চালককে পেছনে বসিয়ে আরোহীদের মধ্যে একজন গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে জানায় পুলিশ। সেই চালকও নিহত হয়েছেন।
এদিকে কাফরুল থানায় দেখা যায়, দুর্ঘটনার শিকার মিতসুবিশি পাজেরো আউটল্যান্ডার গাড়িটি থানার সামনে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।
আজ সন্ধ্যায় ইউনিভার্সাল হাসপাতালের কর্মকর্তা মাসুদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে জানান, ঘটনার পর স্থানীয়রা ভ্যানে করে দুজনকে এখানে নিয়ে আসে। পরীক্ষা করে দেখা যায়, তাঁরা এখানে আনার আগেই মারা গেছেন। সকাল ৭টার দিকে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা মরদেহ এসে ইউনিভার্সাল থেকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যান।