রাজধানীর উত্তরার বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) উড়ালসেতুর ওপরে বাসে-প্রাইভেট কারের চাপায় এক মোটরসাইকেলচালক মারা গেছেন। তাঁর নাম ইমরান চৌধুরী ইমন (৩৮)। তিনি মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের জহুরী মহল্লার এফ-৩ ব্লকের মো. আব্দুল মোতালিব ও মনোয়ারা বেগম ছেলে।
আজ শনিবার উত্তরা-টঙ্গী বিআরটি উড়ালসেতুর আবদুল্লাহপুর অংশে বেলা দেড়টার দিকে আন্তজেলা বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
সরেজমিন দেখা যায়, রাস্তায় পড়ে রয়েছে টাকাপয়সা, নতুন মোটরসাইকেল ও হেলমেট। মোটরসাইকেলচালক ইমরান চৌধুরী ইমনের নিথর দেহের সঙ্গে সেতুর ওপর পড়ে আছে জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স। ডান পায়ের পাতা কবজি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আলাদা হয়ে গেছে ইমরান চৌধুরীর।
বিআরটি উড়ালসেতুর শ্রমিক আশরাফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা উড়ালসেতুতে কাজ করছিলাম। হঠাৎ দেখি সেতুতে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তারপর এখানে এসে দেখি সড়ক দুর্ঘটনায় একজন মারা গেছে।’
উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাফিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইকরা বাস ও একটি প্রাইভেট কারের চাপায় মোটরসাইকেলচালক নিহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
শাফিন বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে আমরা ঘাতক বাস ও প্রাইভেট কারটি শনাক্ত করতে পারিনি।’