জাতীয় সংসদের ফরিদপুর-৪ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে এবার ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ (ভাঙ্গা গোলচত্বর) ব্লকেড করে রেখেছেন বিক্ষোভকারীরা। এতে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের সড়কযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, যতক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান না করবে, ততক্ষণ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হবে।
আজ শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে ভাঙ্গা গোলচত্বরে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় ঢাকা থেকে সব রুটের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকেল ৫টার দিকে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-মহাসড়কের ১০টি এলাকায় সড়ক অবরোধ করে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ সময় সড়কের ওপর গাছ ফেলে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। পরে ভাঙ্গা গোলচত্বর ব্লকেড ঘোষণা করা হয়।
বেলা ৩টা থেকে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নবাসীসহ ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা-চরভদ্রাসন ও সদরপুর) আসনের মানুষ গোলচত্বর এলাকায় অবস্থান নিতে শুরু করেন। একপর্যায়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেলা ৩টার পর থেকে সম্পূর্ণভাবে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। আমরা তাঁদের বুঝিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে যান চলাচল বন্ধ থাকলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’
বিকেলে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে দুপুরে বিষয়টি নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছিলেন।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত ৪৬টি সংসদীয় আসনে পরিবর্তন এনে গেজেট প্রকাশ করা হয়। গেজেট অনুযায়ী ফরিদপুরের দুটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুননির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৪-এর অন্তর্গত ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন পাশের নগরকান্দা উপজেলার সঙ্গে অর্থাৎ ফরিদপুর-২ সংসদীয় আসনের সঙ্গে একীভূত করা হয়েছে। এরপরেই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা।