ইভ্যালির সিইও রাসেলের মুক্তি ও স্বপদে দায়িত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে ‘কনজ্যুমারস অব ইভ্যালি’। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ইভ্যালির গ্রাহক মাজেদুর রহমান বলেন, ‘রাসেল ভাই ছাড়া কে আমাদের টাকা দেবে? আমরা ৭০ লাখ গ্রাহক ও ৩০ হাজার মার্চেন্ট আছি। আমাদের টাকা গেটওয়েতে আটকে আছে। গেটওয়ে রাসেল ভাই ছাড়া কাউকে অ্যাকসেস দেবে না। আমরা টাকা ফেরত পেতে চাই। ব্যবসা করে ই-কমার্সকে গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দাঁড় করাতে চাই। স্বাধীন বাংলাদেশকে পূর্ণ ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করতে চাই।’
মাজেদুর রহমান আরও বলেন, ‘রাসেলের কোনো অপরাধ নেই। অপরাধীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে কিন্তু রাসেল ভাইকে আটকে রাখা হয়েছে। অবিলম্বে রাসেল ভাইয়ের মুক্তি দিতে হবে।' ’
মানববন্ধন থেকে রাসেলের নিঃশর্ত কিংবা শর্তসহ মুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। দাবি আদায় না হলে লাগাতার মানববন্ধন ও আমরণ অনশনের ঘোষণাও দেন গ্রাহক ও মার্চেন্টরা।
মানববন্ধনে সবুজ হোসেন বলেন, ‘একটা মানুষকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান না করে আটক করে লাভ হবে না। আমরা যারা গ্রাহক এবং মার্চেন্ট ছিলাম তারা চেয়েছিলাম রাসেলের মুক্তি এবং তাকে নিরাপদ রাখা। কিন্তু একটি গোষ্ঠী চায়নি। তারা চেয়েছিল বাংলাদেশের ই-কমার্সকে ধ্বংস করতে। গ্রাহক ও মার্চেন্ট উপকৃত হোক সেটা তারা চায়নি। একটা মানুষের অপরাধ ছাড়া কীভাবে কারাগারে আটকে রাখা হয়?’
ইভ্যালির গ্রাহক শিবলী নোমানী বলেন, ‘হাত পা বেঁধে দিলে যেমন সাঁতার কাটতে পারব না তেমনি রাসেল ছাড়া টাকা পাব না। রাসেল ছাড়া কেউ ইভ্যালি চালাতে পারবে না। বিদেশি কোম্পানির স্বার্থকে খুশি করতে একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী উঠেপড়ে লেগেছে।’
শিবলী নোমানী আরও বলেন, ‘তার (রাসেল) অপরাধ তিনি গরিব দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন, মানুষকে ব্যবসা করার সুযোগ দিয়েছেন। এটা যদি অপরাধ হয় তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা ডিসকাউন্টে পণ্য কিনেছি এটা কোনো অপরাধ নয়। আমরা আমাদের অধিকারের জন্য লড়ছি। লড়াইয়ের মাধ্যমে আমাদের অধিকার আদায় করে নেব।’