গাজীপুরের টঙ্গীতে আগামীকাল শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। গত বুধবার বিকেল থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ইজতেমা ময়দানে গিয়ে দেখা যায়, নির্ধারিত অধিকাংশ খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন মুসল্লিরা। এই পর্বে ৬৪টি জেলার মানুষের অবস্থান নেওয়ার জন্য ৮৫টি খিত্তা রয়েছে।
মেহেরপুর জেলা থেকে মোহাম্মদ আল ইমরান দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় অংশ নিতে ৩৯ জন সঙ্গীসহ চিল্লায় এসেছেন। তিনি বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে ময়দানে এসে পৌঁছেছি। আমরা তিন চিল্লার সাথিদের নিয়ে ময়দানে নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিয়ে মুরব্বিদের ইমানি কথা শুনছি।’
দেশের পাশাপাশি বিদেশি মুসল্লিরাও ইজতেমার ময়দানে উপস্থিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত ৯০টি দেশের প্রায় ৫ হাজার মুসল্লি ময়দানে অবস্থান করছেন।
এই পর্বে অংশ নিতে মাওলানা সাদের ছেলে মাওলানা ইউসুফ, মাওলানা সাঈদ, মাওলানা ইলিয়াস ও জামাতা মাওলানা হাসান ময়দানে উপস্থিত হয়েছেন। সাদপন্থীদের ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়কারী মো. সায়েম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার থেকেই ইজতেমা ময়দানের ভেতরে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। মুসল্লিরা খিত্তায় অবস্থান নিয়ে ইমান ও আমলের কথা শুনছেন।
ময়দানে মুসল্লিদের উদ্দেশে আজ জোহরের নামাজের পর ভারতের মাওলানা ফারুক বয়ান করেন। তাঁর বয়ান বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা আশরাফ আলী। আসরের নামাজের পর পাকিস্তানের মাওলানা হারুন কুরাইশী উর্দুতে বয়ান করবেন। বাংলায় তরজমা করবেন বাংলাদেশের মাওলানা মনির এবং মাগরিবের নামাজের পর তাঁর বয়ান বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা আব্দুল্লাহ।
আগামীকাল শুক্রবার ফজরের নামাজের পর পাকিস্তানের মাওলানা ওসমানের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। তাঁর বয়ান বাংলায় অনুবাদ করবেন জিয়া বিন কাশিম।
তিনি জানান, ওয়াচ টাওয়ার, নৌপথে নজরদারির পাশাপাশি আকাশপথে র্যাবের হেলিকপ্টার টহল থাকবে।
এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কমিশনার বলেন, রোহিঙ্গাদের ইজতেমায় অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই। রোহিঙ্গা মুসল্লি ময়দানে এসেছেন এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।