বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করতে অভিযান চালাচ্ছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ। তাদের সঙ্গে পরিবহন মালিক সমিতির প্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। আজ শনিবার সকাল থেকেই রাজধানীর মালিক মিয়া অ্যাভিনিউ এর সামনে এ অভিযান শুরু হয়েছে।
বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফখরুল ইসলামের পাশাপাশি অভিযানে আছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
অভিযানকালে বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরের বিআরটিএর পক্ষ থেকে আটটি মোবাইল কোর্ট প্রতিদিন প্রতিদিন চলছে। অভিযান আমরা যাত্রীদের বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পাচ্ছি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাচ্ছি তাদের জরিমানা করা হচ্ছে। এরপরে যখন আরও অভিযোগ পাব তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ সাংবাদিকদের বলেন, সিএনজি চালিত বাস বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে সিএনজির গাড়িতে কোনো অবস্থায় নতুন ভাড়া নিতে পারবে না। যাত্রীরা যাতে বুঝতে পারে কোনটা সিএনজি চালিত গাড়ি তার জন্য বাসে স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সিএনজি চালিত বাসের বিষয়ে তিনি বলেন, গত পাঁচ দিনের অনুসন্ধানে ৩০০ সিএনজি চালিত গাড়ি পাওয়া গেছে। আমাদেরে এই অনুসন্ধান চলতে থাকবে। বিআরটিএর পাশাপাশি মালিক-শ্রমিকের রাস্তায় কাজ করছে শৃঙ্খলা ফেরত আনার জন্য। যতক্ষণ পর্যন্ত ভাড়ার শৃঙ্খলা না ফিরবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের অভিযান চলবে।
বাসের ওয়েবিল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনায়েত উল্যাহ বলেন, বাসে কতগুলো ট্রিপ হয় তার একটি প্রমাণ রাখায় হলো ওয়েবিল। এগুলো মালিকেরা তাদের হিসাবের জন্য রাখে।