কিশোরগঞ্জে সৈয়দ পরিবারের ভাই-বোনের দ্বন্দ্বে সদর উপজেলায় কর্শাকড়িয়াল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর ও গোলাগুলির অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার রাতে এ হামলা চালানো হয় বলে (এমপি লিপি-সমর্থিত) একাংশের নেতা-কর্মীদের দাবি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গোলাগুলির কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে আমরা কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
সরেজমিন জানা যায়, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিসটিতে তিনটি তালা ঝোলানো। স্থানীয়রা জানান, গত মঙ্গলবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম মতবিনিময় সভা করেন কর্শাকড়িয়াল ইউনিয়নে। এতে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুসহ স্বতন্ত্র প্রার্থী সমর্থিত অংশের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
শেষে ইউপি আওয়ামী লীগের অফিসে নেতা-কর্মীরা ঢুকতে গেলে অফিসটি তালাবদ্ধ পান। তালার চাবি সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপির সমর্থকদের কাছে চেয়ে না পেয়ে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ায় উভয় পক্ষ। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা তালা ভেঙে অফিসে প্রবেশ করেন বলে জানান তাঁরা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম বলেন, ‘যখন কর্শাকড়িয়াল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিস তালা বন্ধ দেখি, তখন আমি দানাপাটুলী ইউনিয়নে চলে যাই–নির্বাচন পরবর্তী গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভা করতে।’
এদিকে দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের প্রতিবাদে কর্শাকড়িয়াল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের (এমপি-সমর্থিত) একাংশের নেতা-কর্মীরা মানববন্ধন করেছে। আজ বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন হয়।
এ সময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘শহর থেকে ক্যাডার বাহিনী নিয়ে এসে পিস্তল, রামদা দিয়ে আমাদের ওপর আক্রমণ করেছে। আক্রমণ করে আওয়ামী লীগ অফিস ও যুবলীগ নেতার দোকানপাট ভাঙচুর করেছে। এমপি জাকিয়া নূর লিপি কী দোষ করেছিল? তাঁর ছবি নামিয়ে ভাঙচুর করেছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও বিচার দাবি করছি।’