অবশেষে ঘটনার ১৪ দিন পর সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের মামলা নিল বনানী থানা। তবে কোনো আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি। অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়।
বনানী থানার ওসি নূরে আযম মিয়া আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।’ তবে মামলার বিষয়ে বাদী মহুয়া হাজং জানিয়েছেন, তাঁকে থানা থেকে কিছু জানানো হয়নি।
মামলা নিতে দেরি হওয়ার বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মো. আসাদুজ্জামান আজ রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযোগটি যাচাই-বাছাই করার প্রয়োজন ছিল, তদন্ত করে মামলা নেওয়া হয়েছে। বাদীর অভিযোগে কোনো অভিযুক্তের নাম ছিল না ।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সার্জেন্ট মহুয়ার এক আত্মীয় বলেন, ‘এত তথ্য প্রমাণ থাকার পরও অজ্ঞাত নামে মামলা। এতেই বোঝা যাচ্ছে এ বিচার আমরা কখনো পাব না। শুধু গণমাধ্যমের চাপের কারণে মামলা হয়েছে। দুর্ঘটনার তদন্ত বা বিচার করার জন্য নয়।’
গত ২ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর বনানীর চেয়ারম্যানবাড়ি সড়কে এক বিচারপতির ছেলের গাড়িচাপায় আহত হন বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত সদস্য মনোরঞ্জন হাজং। পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাঁর এক পা কেটে ফেলেন। সেখানে নয় দিন চিকিৎসার পর অবস্থা আরও খারাপ হলে পঙ্গু হাসপাতাল থেকে শাহবাগের বারডেম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তিনি এখন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার পর থেকে মামলা করার চেষ্টা করছেন মনোরঞ্জন হাজংয়ের মেয়ে পুলিশের সার্জেন্ট মহুয়া হাজং। কিন্তু পুলিশ মামলা নিচ্ছে না। গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতেও নিষেধ করা হয়েছে তাঁকে। হাসপাতালের মধ্যেই বসানো হয়েছে পুলিশি পাহারা। এসবের সঙ্গে আছে বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের নানামুখী চাপ।
মধ্যরাতে বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে নারী পুলিশ সার্জেন্টের বাবাকে চাপা দেওয়ার ঘটনার অভিযোগ গ্রহণ না করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে মানবাধিকার ও নাগরিক সংগঠনগুলোর জোট হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)। মামলা গ্রহণ করাসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।