গোপালগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৩২ পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা আইনের আওতায় ১৪টি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় বিভিন্ন উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও হল পরিদর্শকেরা বাদী হয়েছেন। আজ শনিবার দিনভর গোপালগঞ্জ থানায় এসব মামলা রুজুর পর বিকেলে আটককৃত ৩১ পরীক্ষার্থীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার গোপালগঞ্জ শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা চলাকালীন ওই সব পরীক্ষার্থীকে আটক করে থানা হেফাজতে রাখা হয়। আটককৃত ৩১ জনের মধ্যে ১২ জন নারী ও বাকিরা পুরুষ পরীক্ষার্থী।
জানা যায়, পরীক্ষা শুরুর পরপরই প্রথমে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ কেন্দ্রের একটি কক্ষে মোবাইল-ম্যাসেজ দেখে উত্তরপত্রে উত্তর দেওয়ার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাতেনাতে এক নারী পরীক্ষার্থীকে আটক করেন। এরপর একে একে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে একই অপরাধে আরও ৩০ পরীক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। আটককৃত প্রত্যেকের মোবাইল ফোনেই প্রশ্নপত্রের উত্তর-সংবলিত ম্যাসেজ পাওয়া যায়। এ ছাড়াও এক পরীক্ষার্থী নিজেকে বাঁচাতে প্রবেশপত্র ও উত্তরপত্র জমা না দিয়ে ফেলে রেখে হল থেকে পালিয়ে যান।
শনিবার বিকেলে গোপালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. নাসিরউদ্দীন জানিয়েছেন, আটককৃতরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করেছে। তাঁদের প্রত্যেকের মোবাইলেই ওই পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের উত্তর-সংবলিত ম্যাসেজ পাওয়া গেছে। তাঁদের মোবাইল ফোন ও পরীক্ষার খাতা জব্দ করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা আইনের আওতায় মামলা দায়েরের পর তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।