যমুনা নদীর ইকোনমিক করিডর উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এই নদীর ইকোনমিক করিডর উন্নয়ন আরও অনেক আগেই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় রাজনৈতিক নেতিবাচক দৃষ্টি ভঙ্গির কারণে তা করা সম্ভব হয়নি।
আজ সোমবার রাজধানী রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে ‘যমুনা নদীর ইকোনমিক করিডর উন্নয়নঃ সম্ভাবনা, প্রতিবন্ধকতা এবং কৌশল প্রণয়ন’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পানি সম্পদ বিশেষজ্ঞ এবং রয়েল মিলিটারি কলেজ কানাডার অধ্যাপক (সংযুক্ত) ড. এস এম হাবিবুল্লাহ বাহার, আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডর মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘যমুনা নদীর উন্নয়নের করিডর অনেক আগেই হওয়ার কথা ছিল। এমনকি শাখা নদীগুলোরও করিডর উন্নয়ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিএনপি জামায়াত জোটের রাজনৈতিক নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এখন এই উন্নয়ন করিডর বাস্তবায়ন করতে প্রকৌশলীদের সহযোগিতা লাগবে, একই সঙ্গে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও লাগবে।’
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘যে কোন কানেকটিভিটি দেশের উন্নয়নের দুয়ার খুলে দেয়। যমুনা নদীর ইকোনমিক করিডর উন্নয়নের কথা চিন্তা করেই দুই পাশের স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে। এই করিডর শুধু বাংলাদেশের মাঝে পণ্য পরিবহনে অবদান রাখবে, তা নয়। এই করিডর বিদেশেও পণ্য পরিবহন করতে সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনায় যমুনা তীরের মানুষের এখন উন্নতর জীবন ও জীবিকার স্বপ্ন দেখছে।’
এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘যমুনা নদী ঘিরে বাণিজ্য ও শিল্পায়নের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। যমুনা নদীর ইকোনমিক করিডর উন্নয়ন করতে পারলে রপ্তানিমুখী শিল্পায়ন গড়ে উঠবে। সেই সম্ভাবনাকে সামনে রেখে যমুনা নদীর ওপর সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প চলমান আছে।’
যমুনার তীরকে অর্থনৈতিক জোন হিসেবে কাজে লাগাতে না পারা দুঃখজনক বলে মনে করেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যমুনা নদীর করিডরকে কীভাবে কাজে লাগানো যায় সে লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ জন্য সরকার নদী শাসন ও নদী রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বন্যার ঝুঁকি কমানো ও নদীর পানি প্রবাহ বাড়ানো, পলি ব্যবস্থাপনার কাজ চলছে।
আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর।