বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশকে হত্যা করা হয়েছে—এমনটাই ধারণা করছেন চিকিৎসকেরা। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ময়নাতদন্ত শেষে গণমাধ্যমের কাছে এ তথ্য জানান নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও শেখ ফরহাদ।
তিনি বলেন, ‘বুয়েটের ছাত্র ফারদিনের মাথার বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাঁর বুকের ভেতরেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। দ্রুতই ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হবে।’
এর আগে গতকাল বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের বনানী ঘাটসংলগ্ন এলাকায় নদীতে ভাসমান অবস্থায় ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে ফারদিনের এক বন্ধু ও এক বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। নিহত ফারদিন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ১৮তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন।
গত ৪ নভেম্বর দুপুরে ডেমরার কোনাপাড়া এলাকার বাসা থেকে বুয়েটের আবাসিক হলের উদ্দেশে বের হন ফারদিন। ৫ নভেম্বর তাঁর পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি পরীক্ষায় অংশ নেননি এবং বাড়িতেও ফেরেননি। এ ঘটনায় ফারদিনের বাবা কাজী নূর উদ্দিন রামপুরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
ঘটনার তিন দিন পর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ফারদিনের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার নয়ামাটি দেউলপাড়া এলাকায়।