পুলিশের সাবেক ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) মো. আব্দুল বাতেনের স্থাবর সম্পদ ক্রোক ও পাঁচটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নির্দেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের দুদক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন বলে সূত্রে জানা গেছে।
স্থাবর সম্পদের মধ্যে সুনামগঞ্জ এলাকায় ১০০ শতকের অধিক জমি এবং অস্থাবর সম্পদের মধ্যে চারটি ব্যাংক হিসাবে ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৩৭ হাজার ৭৯৭ টাকা এবং এনআরবিসি ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
আবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) মো. আব্দুল বাতেন ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন। বিষয়টি দুদক অনুসন্ধান করছে।
অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মো. আব্দুল বাতেন ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁদের মালিকানাধীন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন, যা করতে পারলে অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা দায়ের, আদালতে চার্জশিট দাখিল, আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় থেকে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সব উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে।
এ অবস্থায় সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্থাবর সম্পত্তিসমূহ ক্রোক ও অস্থাবর সম্পত্তিসমূহ অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়।