রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও ব্যবসায়ী গাজী আনিস নিজের শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় হেনোলাক্স গ্রুপের এমডি নুরুল আমিন ও তাঁর স্ত্রী ফাতেমা আমিনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়েরের পরপরই তাঁদের উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩।
আজ মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাহিনীটির গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
আল মঈন বলেন, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা গাজী আনিস আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
এর আগে গতকাল দুপুরে শাহবাগ থানায় মামলা (নং-৯) দায়ের করেছেন আনিসের ছোট ভাই নজরুল ইসলাম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পুলিশ কর্মকর্তা (ডিসি) শাহেন শাহ মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘মামলার পর তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা আসামি গ্রেপ্তারে কাজ শুরু করেছি।’
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যাডমিন্টন মাঠে নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গাজী আনিস। পরে আশপাশের লোকজন এসে আগুন নেভায় এবং পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাঁকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়। আজ ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। আর সেই আত্মহত্যার ঘটনায় মামলার পরপরই হেনোলাক্স গ্রুপের কর্ণধার নুরুল আমিনকে হেফাজতে নিয়েছিল গোয়েন্দারা।
আত্মহত্যার চেষ্টার বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ করেই গাজী আনিস নিজের গায়ে আগুন জ্বালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাঁরা জানান, আনিস হেনোলাক্স কোম্পানির কাছে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা পান। এই টাকা না পাওয়ায় তিনি নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।