নব নিযুক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো.আসাদুজ্জামান বলেছেন, অ্যাটর্নি জেনারেল কোনো দলের না, রাষ্ট্রের। আমার দায়িত্ব হলো এই রাষ্ট্রের জনগণের পক্ষে অবস্থান নেওয়া। দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে সরকার আসছে তারা এই রাষ্ট্রের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এসেছে।
বিএনপি নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে লাখ লাখ মামলা। এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা উচিৎ। তবে এটি সরকারি সিদ্ধান্ত। যত অসাংবিধানিক, মানবাধিকার বিরোধী পদক্ষেপ আছে সবগুলোই সংস্কার হওয়া প্রয়োজন। সেটা না হলে ১৯৭১ সালের, ২০২৪ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে।
আজ প্রজ্ঞাপনের পর দায়িত্ব নিয়ে তার কার্যালয়ে নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান এসব কথা বলেন। তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলের চেয়ারে বসে শুরুতেই বলেন, বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সেই সঙ্গে যারা কয়েকদিনে শহীদ হয়েছেন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমার চেষ্টা থাকবে প্রজাতন্ত্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসেবে এই দেশের আপামর জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এই অফিস যেন অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করে। এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১ সালে যারা জীবন দিয়েছিলেন, এই দেশের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ২০২৪ সালে এসে যাদেরকে জীবন দিতে হয়–আমরা প্রত্যাশা করবো আগামীর বাংলাদেশ হবে তাদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করার জন্য। অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস সেই লক্ষে যাতে কাজ করতে পারে।
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন যেভাবে পালিত হয়, ১৯৬৯ এর যেমন বিশেষ দিন আছে, ১৯৭১ সালের যেমন স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস আছে, ১৯৯০ এর যেমন গণ অভ্যুথান দিবস আছে–বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রজন্মের এই মুক্তিযুদ্ধ দিবস আশাকরি সরকার পালন করবেন। যাতে করে তাদের অবদান চির অম্লান হয়ে থাকে।