দর্শনার্থীদের আনাগোনায় জমে উঠছে পর্যটন মেলা। আজ শুক্রবার মেলার শেষ দিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) প্রথম দুই দিনের তুলনায় মানুষের চাপ বেড়েছে। আয়োজকেরা বলছেন, ‘করোনার পর দেশের সবচেয়ে বড় এই পর্যটন মেলা মানুষের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে। এটি দেশের পর্যটন খাতের ইতিবাচক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) আয়োজিত পর্যটন মেলায় দুটি হলে রয়েছে ৮টি প্যাভেলিয়নসহ মোট ৮০টি স্টল। বুধবার (৩০ মার্চ) শুরু হওয়া এই মেলা শেষ হচ্ছে আজ শুক্রবার। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকছে।
মেলায় বাংলাদেশ টুরিস্ট গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তামিম আহমেদ বলেন, ‘প্রথম দুই দিনের তুলনায় আজ মেলা জমে উঠেছে। পর্যটন ব্যবসায়ীদের ট্যুর প্যাকেজও ভালো বিক্রি হচ্ছে।’
পর্যটন মেলায় স্টল দিয়েছে বেসরকারি উড়োজাহাজ সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস। কথা হয় স্টলে দায়িত্বে থাকা সাজিয়া আফরিন তানিয়ার সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা মূলত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের সেবাসমূহ মেলার দর্শনার্থীদের কাছে উপস্থাপন করছি। এ ছাড়া মালদ্বীপের বেশ কিছু ট্যুর প্যাকেজ বিক্রি করেছি।’
সারা দেশে হোটেল বুকিং দেওয়ার সুবিধা নিয়ে মেলায় স্টল দিয়েছে আইরমস বিডি। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, ‘সারা দেশের জেলা ও উপজেলায় চাইলে আমাদের মাধ্যমে যে কেউ হোটেল বুকিং দিতে পারবে। মেলা উপলক্ষে বুকিংয়ে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য ছাড় দেওয়া হচ্ছে।’
ওমরা হজের প্যাকেজ নিয়ে মেলায় অংশ নিয়েছে এয়ার স্পিড (প্রা.) লিমিটেড। তারা দর্শনার্থীদের কাছে হজের বিভিন্ন প্যাকেজ উপস্থাপন করছেন।
মেলায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থী আতাউর রহমান জানান, তাঁর পরিবার সমেত ভারতের দার্জিলিং ভ্রমণের ইচ্ছে আছে। এর জন্য খবর নিতে মেলায় এসেছেন। ভারতের একটি ট্যুর এজেন্সির যোগাযোগ নম্বরও সংগ্রহ করেছেন।
টোয়াবের তথ্য বলছে, তিন দিনের বাৎসরিক এই আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা টোয়াব ২০০৭ সাল থেকে আয়োজন করে আসছে। পর্যটন সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং এর টেকসই উন্নয়ন এই মেলার উদ্দেশ্য।