দীর্ঘ এক মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেল রাজধানীর দিয়াবাড়ি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ তাসনিয়া (১৫)। আজ শনিবার সকাল ৮টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
তাসনিয়ার মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সুলতান মাহমুদ সিকদার।
তিনি জানান, বিস্ফোরণে তাসনিয়ার শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আইসিইউতে চিকিৎসা চলছিল তার। সেখানেই সকালে মারা গেছে।
তাসনিয়ার বাবা মো. নাজমুল হোসেন জানান, তাঁদের বাড়ি ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলায়। মাইলস্টোন স্কুলের ৮ম শ্রেণিতর পড়ত তাসনিয়া।
এ নিয়ে ওই ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ ৩৬ জনের মৃত্যু হলো।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, দুর্ঘটনার পর তাসনিয়াকে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের ৩৫ শতাংশ আগুনে পুড়ে গিয়েছিল।
গত ২১ জুলাই দুপুরে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের একটি ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই বিমান দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত যে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই শিশু।
বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে ৫৬ জনকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৪ জন, ২২ জন এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
মাইলস্টোন স্কুলে বিমান আছড়ে পড়ার ঘটনায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এখনো একজন ভর্তি আছেন। ওই হাসপাতালে ১৪ জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ইউনাইটেড হাসপাতালে একজন করে দুজন মারা যায়।