টাঙ্গাইলের মধুপুরে সালিসে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় মহিষমারা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সরাফত আলী ও জুয়েল রানাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার তাঁদের টাঙ্গাইল জেলা জজ আদালতে হাজির করলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে রোববার রাতে নিহতের ভাই আবু হানিফা বাদী হয়ে মধুপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মহিষমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহি উদ্দিন মহির, ইউপি সদস্য সরাফত আলী ও জুয়েল রানাসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়।
জানা যায়, মধুপুরের আশ্রা গ্রামের আমজাদ হোসেন ও ইদ্রিস আলীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পাশের বাড়ির হাতেম আলীর জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। গত শনিবার উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নের আশ্রা দক্ষিণপাড়া মাস্টারবাড়ি মোড়ে জমির বিরোধ মীমাংসার বৈঠক বসে। ওই বৈঠকে বাগ্বিতণ্ডা থেকে হাতাহাতি হয়।
এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় হান্নান মিয়ার (২৬) মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হন নিহত হান্নানের বড়ভাই আবু হানিফা। তাঁকে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৈঠকে উপস্থিত থাকা ওই দুই ইউপি সদস্যকে আটক করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মধুপুর থানার উপপরিদর্শক ফখরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। সরাফত আলী ও জুয়েল রানাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’