হোম > সারা দেশ > ঢাকা

অফিশিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট বাতিলের দাবি ইনুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অফিশিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টের কোনো প্রয়োগ না হওয়ায় এই আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আজ বৃহস্পতিবার সকালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি। 

হাসানুল হক ইনু বলেন, গণমাধ্যম আইন, সম্প্রচার আইন ও কমিশন গঠন এবং সাংবাদিক আইন অবিলম্বে করা দরকার। অন্য আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করার ফলে অফিশিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টের কোনো প্রয়োগ হচ্ছে না। এটা বাতিল করুন। 

সাবেক তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রের পঞ্চম স্তম্ভ হিসেবে দাঁড়াবে তথ্য ও পরিসংখ্যান। আইনের কারণে বিনা দোষে হয়রানির শিকার হলে আইনের সংস্কার অবশ্যই হতে হবে। 

গণমাধ্যমের সঙ্গে বিচার ব্যবস্থার দ্বন্দ্ব চিরন্তন উল্লেখ করে ইনু বলেন, রাষ্ট্র, প্রশাসন ও সরকার যত দিন থাকবে গণমাধ্যমের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব থাকবেই। কারণ গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। তারা রাষ্ট্রের কাছে জবাবদিহি চাইবেই। 

সাম্প্রদায়িক ঝাপটা থেকে গণতন্ত্রকে বাঁচাতে গণমাধ্যমকে কাজ করার আহ্বান জানান সাবেক তথ্যমন্ত্রী। গণমাধ্যমের ওপর বার্ষিক রিপোর্ট ও জরিপ করার কথাও বলেন তিনি। 

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকতা ও নীতি কাঠামো নিয়ে গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। দক্ষতাসহ সাংবাদিকতার উন্নয়নের দিক, সাংবাদিকদের প্রভাবিত করে এমন বিভিন্ন উপাদান এবং সাংবাদিকতার নীতি কাঠামোর প্রবণতাগুলো উপস্থাপন ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে সুপারিশ করা হয়। গবেষণাটিতে অফিশিয়াল সিক্রেট আইন, ডিজিটাল আইন ও তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে সাংবাদিকদের মতামত নেওয়া হয়। সেখানে উঠে এসেছে সংবাদ প্রকাশের জন্য ৪১ শতাংশ সাংবাদিক বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। 

গবেষণার ফলাফল সকলের সামনে তুলে ধরেন গবেষণাটির পরিচালক রেজাউল হক। 

গবেষণায় ১ জানুয়ারি ২০২০ থেকে ৩০ জুন ২০২১ সাল পর্যন্ত দেশের সব জেলা থেকে ১৩ জন নারীসহ ৪৬১ জন সাংবাদিক অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে ২৯৭ জন জাতীয় পর্যায়ের সংবাদমাধ্যমে কাজ করেন ও বাকি ১৬৪ জন জেলা পর্যায়ে কাজ করেন। 

গবেষণায় উপস্থিত সাংবাদিকেরা প্রান্তিক পর্যায়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, প্রেস কাউন্সিলকে আরও সচল করে তোলা, সাংবাদিক আইন ও ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের পাশাপাশি আরেকটি ধারা করে সাংবাদিকদের জন্য এই আইন কিছুটা শিথিল করার পরামর্শ দেন। 

গবেষণার ফলাফল পর্যবেক্ষণ করে অনুষ্ঠানে মোট ১৩টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে আইনি কাঠামোগুলোর নির্মোহ বিশ্লেষণ ও সংস্কার, প্রত্যেক গণমাধ্যমের নিজস্ব আচরণবিধি নিশ্চিত করা,   জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়ানোর জন্য গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের সামর্থ্য অনুযায়ী নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, অনলাইন থেকে নিজ উদ্যোগে সাংবাদিকতা শেখার চেষ্টা, সম্মানজনক বেতনসহ অন্যান্য সুবিধার ক্ষেত্রে ওয়েজবোর্ড ও অন্যান্য বিধান নিশ্চিত, নারী উপযোগী কর্ম পরিবেশ তৈরি করা ইত্যাদি। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মনজুরুল আহাসান বুলবুল। 

ঋণমুক্তির স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন সিয়াম, নিভে গেলেন হাতবোমায়

হাদি হত্যা: আদালতে ঘটনার যে বর্ণনা দিলেন প্রত্যক্ষদর্শী সেই রিকশাচালক

নারায়ণগঞ্জে কোটি টাকা মূল্যের নকল স্ট্যাম্প জব্দ, আটক ২

ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি, জমকালো আয়োজনে নবীন-প্রবীণের মিলনমেলা

ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজট

গজারিয়ায় পুলিশের টহল গাড়িতে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কা, সার্জেন্টসহ আহত দুই

রাজবাড়ীতে চাঁদাবাজির সময় গণপিটুনিতে সম্রাট বাহিনীর প্রধান নিহত

সুজনের গোলটেবিলে পর্যবেক্ষণ: ভোটের খরচ না কমলে দুর্নীতিও কমবে না

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার যানজট

মগবাজারে ককটেল বিস্ফোরণে নিহতের মরদেহ ঢামেক মর্গে