ঢাকার সাভারে অচেতন করে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগে ওই তরুণী উল্লেখ করেছেন, কাশবন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও চিকিৎসক পরিচয়ে তাঁকে ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করেন।
গত বুধবারের ঘটনায় আজ শনিবার সকালে সাভার থানায় এ লিখিত অভিযোগ দেন তরুণী। থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশিক ইকবাল অভিযোগ গ্রহণ করে একজন এসআইকে তদন্তের ভার দেন।
লিখিত অভিযোগে ওই তরুণী উল্লেখ করেছেন, তিনি মানিকগঞ্জের একটি কলেজের অনার্স (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তিনি পরিবারের সঙ্গে সাভারে থাকেন। কর্মস্থলের সূত্রে কাশবন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির পরিচালকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়।
ওই ব্যক্তি নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে একরকম জোর করে ওই ছাত্রীর ওজন কমানোর কথা বলে গত বুধবার শরীরে ইনজেকশন দেন। এরপর তিনি অচেতন হয়ে গেলে তাঁকে ধর্ষণ করেন।
তরুণীর অভিযোগ করে বলেন, ‘আজ শনিবার থানায় অভিযোগ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তির স্ত্রী আমাদের বাসায় আসেন এবং আমার মা-বাবাসহ আমাকে তাঁদের অফিসে নিয়ে আপসের জন্য চাপ দেন।’
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কাশবন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির কার্যালয়ে গিয়ে কোনো সাইনবোর্ড পাওয়া যায়নি। কলবেল চাপার পর ভেতর থেকে ওই লোকের স্ত্রী বের হয়ে তাঁর পরিচয় দেন। কিন্তু বাসায় অন্য কোনো লোক না থাকার অজুহাতে তিনি এ প্রতিবেদককে ভেতরে ঢুকতে দেননি এবং কোনো কথাও বলেননি।
পরে মোবাইল ফোনে ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘মেয়েটি যে অভিযোগ করেছে, তা সত্য নয়।’
চিকিৎসক পরিচয় দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মেডিসিনের সার্জন। তাই চিকিৎসক পরিচয় দিই।’ তবে তিনি কোন হাসপাতাল বা প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি।
জানতে চাইলে সাভার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশিক ইকবাল বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর এসআই চম্পককে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।