দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী বলেছেন, ‘যেদিকে তাকাবেন, সেদিকেই ঘুষ-দুর্নীতি এবং প্রত্যাশিত নয় এমন ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। এগুলো কি দেখভাল করার কেউ নেই? সরকারি পরিষেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের মাঝে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহি ও মূল্যবোধ বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করতে হবে।’
আজ সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জে দুদকের গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদক কমিশনার এসব কথা বলেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে গণশুনানির এই আয়োজন করে দুদক।
দুদক কমিশনার বলেন, ‘আমাদের সবাইকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। নিজেদের বদলাতে হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদক পর্যায়ক্রমে সারা দেশে গণশুনানির আয়োজন করছে।’
দুদক কমিশনার আরও বলেন, ‘জেলা রেজিস্ট্রার বিভাগ, আয়কর, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, ভূমি খাত থেকে শুরু করে সব জায়গায় ঘুষ আর দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। অর্ধেকের কম জনবল নিয়ে দুদক কাজ করে যাচ্ছে। কমসংখ্যক জনবল দিয়ে বৃহৎ কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। সারা দেশে মাত্র ৩৭টি জজ আদালত রয়েছে।’ ন্যায়বিচারের স্বার্থে আদালতের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি করেন তিনি।
‘রুখব দুর্নীতি, গড়ব দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যে আয়োজিত গণশুনানিতে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে সেবাপ্রাপ্তিতে হয়রানির শিকার বা সেবাবঞ্চিত সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা তাঁদের ৫৮টি অভিযোগ কমিশনের সামনে তুলে ধরেন। সেবাবঞ্চিত ব্যক্তিদের উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে দুদকে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে গণশুনানিতে আরও বক্তব্য দেন দুদকের কমিশনার (অনুসন্ধান) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্সান ফরিদ, মহাপরিচালক আক্তার হোসেন, উপপরিচালক মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান, মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) আবদুল ওয়ারেস, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি খবিরুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।