নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা ও শহরে মশাল মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণ ও টায়ারে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৮টার মধ্যে পৃথক তিনটি স্থানে এ ঘটনা ঘটে। স্থানগুলো হচ্ছে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক, ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সস্তাপুর এবং শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের হক প্লাজার সামনে।
ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এসবে দেখা যায় সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় ১০ থেকে ১৫ জন যুবক মশাল হাতে নিয়ে মিছিল করছেন এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন। মিছিল শেষে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এবং টায়ারে আগুন ধরিয়ে সরে যান তাঁরা।
একইভাবে ফতুল্লার সস্তাপুর এলাকায় সড়কের পাশে মশালে ও টায়ারে আগুন ধরিয়ে তা রাস্তার দিকে ছুড়ে দিতে দেখা যায়। সেখানেও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিতে শোনা যায় উপস্থিত ব্যক্তিদের।
এ ছাড়া চাষাঢ়া হক প্লাজার সামনে কে বা কারা ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, ‘সন্ধ্যায় কয়েকজন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মশাল মিছিল এবং রাস্তায় অগ্নিসংযোগ করেছে। একটি ভিডিও ক্লিপে দেখেছি খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের নামে তাদের স্লোগান দিতে।’
একইভাবে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ রিজাউল হক দিপু এবং সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিচুর রহমান মোল্লা ঘটনাগুলোর সত্যতা স্বীকার করেন।
একই বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘মৌচাক, বঙ্গবন্ধু রোড ও সস্তাপুর এলাকায় মশাল মিছিল থেকে ককটেল চার্জের ঘটনা ঘটেছে। আমরা অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে সেসব স্থানে পুলিশ মোতায়েন করেছি। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। মূলত মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরির জন্য এ কাজ করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করব। আমরা দেখব এই দুষ্কৃতকারী কারা। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’