গত ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের অত্যাচারে প্রাণ যায় বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের। এর জেরে একই বছরের ১১ অক্টোবর বুয়েটে সকল রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রম কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে নিষিদ্ধ করা হয়। তবে বুয়েটে ফের সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি চালুর আশঙ্কা করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ শনিবার রাত ৮টায় বুয়েট অডিটোরিয়ামের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে গণমাধ্যমের সামনে এক বিবৃতি পাঠ করেন।
বিবৃতি পাঠকালে বলা হয়, ‘১৯৭৫ সালের এই মাসের ১৫ তারিখে বাঙালি হারায় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তাঁর আদর্শ অনুসরণ করেই আমরা নিরন্তর কাজ করে চলেছি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে গড়ে তুলতে। তারই ধারাবাহিকতায় নিরাপদ এবং সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন নিশ্চিত করা সকল শিক্ষার্থীর মৌলিক চাহিদার মধ্যে অন্যতম। অথচ দুঃখজনক হলেও সত্য যে, যেই ছাত্ররাজনীতি একসময় দেশের ক্রান্তিলগ্নে অগ্রগণ্য ভূমিকা রেখেছিল, পরাধীনতার হাত থেকে মুক্ত করে জন্ম দিয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের, সেই ছাত্ররাজনীতি আজ ক্ষমতার অপব্যবহারে কলুষিত।’
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা সত্ত্বেও আজ শনিবার বুয়েট অডিটোরিয়াম কমপ্লেক্সে বুয়েটের ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দদের আয়োজনে একটি ব্যানার দেখা যায়। এছাড়া চলতি বছরের ২ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হলে আরিফ রায়হান দিপের স্মৃতিফলকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ৮ জুন সাবেকুন নাহার সনির স্মৃতিফলকে বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে ব্যানার টানানো হয়। ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র সংগঠনের বারবার নিজেদের উপস্থিতি জানিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি পাওয়ায় বুয়েট কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে বুয়েটের সকল সাধারণ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবস্থান এবং সুস্পষ্ট জবাব আশা করছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।