রাজধানীর সদরঘাটে পন্টুনে বাঁধা লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পাঁচজন নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচ আসামিকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ শুক্রবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদরঘাট নৌ থানার উপপরিদর্শক নকীব অয়জুল হক আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে তাঁদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফা চৌধুরী হিমেল উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে প্রত্যেককে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. মিজানুর রহমান (৪৮) ও দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. মনিরুজ্জামান (২৪) এবং এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. আব্দুর রউফ হাওলাদার (৫৪), দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. সেলিম হাওলাদার (৫৪) ও ম্যানেজার মো. ফারুক খান (৭৬)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদরঘাট নৌ থানার উপপরিদর্শক নকীব অয়জুল হক রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) ইসমাইল হোসাইন বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
নৌ পুলিশের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, মামলার এজাহারে অবহেলাজনিত বেপরোয়া গতিতে লঞ্চ চালিয়ে মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।
গতকাল ঈদের দিন সদরঘাটের ১১ নম্বর পন্টুনে এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের ধাক্কায় এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে গেলে সেটির আঘাতে পাঁচজন মারা যান। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন।
তাঁরা হলেন মো. বেলাল (২৫), তাঁর স্ত্রী মুক্তা (২৬) ও তাদের সন্তান মাইসা (৩)। তাঁদের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়। নিহত অন্য দুজন হলেন ঠাকুরগাঁওয়ের রবিউল ও পটুয়াখালীর রিপন হাওলাদার।
আরও পড়ুন: