স্বাভাবিক চোখে দেখলে মনে হবে শহরের পরিত্যক্ত জঞ্জালভর্তি একটি পিকআপ। এই পিকআপটি বিভিন্ন ধরনের পরিত্যক্ত পণ্য ও লোহার টুকরা, অর্থাৎ ভাঙ্গারিতে বোঝাই। কিন্তু বাস্তবে ভিন্ন কিছু পেয়েছেন র্যাবের সদস্যরা। পিকআপে ভর্তি ভাঙ্গারির আড়ালে পাচার করা হচ্ছিল গাঁজা। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালিয়ে এই মাদক জব্দ করা হয়।
এ সময় মাদকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. মেরাজ হাসান (২০) ও মো. রনি (৩২)।
আজ শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-২-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি ফজলুল হক।
গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, রাজধানীসহ আশপাশের জেলায় নেশাজাতীয় দ্রব্যের ব্যাপক চাহিদা থাকায় নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করে অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে মাদক সংগ্রহ করত। এরপর অভিনব কায়দায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হতো। গ্রেপ্তার মো. রনি মাদক মামলায় চার মাস কারাভোগের পর গত ২৬ আগস্ট জামিনে মুক্ত পান। তাঁর বিরুদ্ধে রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় মাদক মামলা এবং মো. মেরাজ হাসানের বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।