‘মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় দিবসে উপহার দেওয়া হয়। প্রথমবার পেয়েছিলাম যাকাতের লুঙ্গী, এরপর মহিলাদের দিয়েছিল চাদর। এগুলো পাওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম?
আজ শনিবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর তোপখানা রোডের মেহেরবা প্লাজায় রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা’৭১-এর উদ্যোগে আয়োজিত এক সভায় দুই নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম খান এসব কথা বলেন।
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, ‘অনেকেই বলে “জয় বাংলা” আওয়ামী লীগের স্লোগান। কিন্তু এটা তাদের না, এই স্লোগান মুক্তিযুদ্ধের, মুক্তিযোদ্ধাদের।’
যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরের মধ্যে ২৯ বছরই ছিল স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি। যার কারণে মুক্তিযুদ্ধের মূল আদর্শ ও মূল্যবোধ নষ্ট হয়েছিল। বর্তমানে সেই আদর্শে ফিরে আসতে শুরু করলেও এখনো নতুন প্রজন্মের মধ্যে বিভ্রান্তির অবসান হয়নি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি।’
রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘সংসদের সামনে যদি কবর থাকে তবে সেটা সাত জন বীরশ্রেষ্ঠর থাকার কথা কিংবা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবর থাকার কথা। কিন্তু কোনো রাজাকারের কবর থাকবে না। কোভিড প্যান্ডেমিক শেষ হয়ে গেলে ওই কবরগুলো সংসদ থেকে সরানোর জন্য আমরা মুক্তিযোদ্ধারাই সংসদের সামনে দাঁড়াব।’
নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের দর্শন ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয়পত্র প্রদান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল এর নির্বাচন, সংসদ ভবন এলাকা থেকে রাজাকার নেতাদের কবর অপসারণসহ বিভিন্ন দাবী জানানো হয় সভায় উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে।