দেশের মৎস্য ও জলজ সম্পদ রক্ষায় ক্ষতিকর ও অবৈধ সকল প্রকার জালের বিরুদ্ধে দেশের ১৭ জেলায় নৌ পুলিশের ৬১টি থানা ও ফাঁড়ি মিলে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে নৌ পুলিশ।
গত ১৯ জানুয়ারি থেকে চার দিন ব্যাপী এই অভিযানে এক কোটি মিটারের বেশি অবৈধ জালসহ ৫২ জেলেকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার রাতে এই তথ্য জানিয়েছেন নৌ পুলিশের সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাথী রানী শর্মা।
সাথী রানী শর্মা জানান, ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী বেহুন্দি জালসহ সকল প্রকার অবৈধ জাল অপসারণে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী নৌ পুলিশের সদর দপ্তরের তত্ত্বাবধানে ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন ২০২৩’ পরিচালিত হয়। অভিযানে পিরোজপুর, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, বরিশালও চাঁদপুরসহ দেশের ১৭ জেলায় এ চার ধাপে ৩০ দিনব্যাপী ধরে ‘বিশেষ কম্বিং অভিযান ২০২৩’ অভিযান চালানো হবে। সরকারি এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে নৌ পুলিশের ছ টি অঞ্চলের ৬১টি থানা ও ফাঁড়ি থেকে অভিযান চালানো হচ্ছে।
অভিযানের দ্বিতীয় পর্যায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) পর্যন্ত চার দিনে নৌ পুলিশ সদস্যরা অভিযান চালান। বিশেষ এই অভিযানে এক কোটি ১৩ লাখ ৬৩ (প্রায়) হাজার মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়। এ ছাড়া এই সকল জাল ব্যবহার করে বিভিন্ন নদ-নদী থেকে ধরা ৪ হাজার ২৩৫ কেজি জাটকা ও পাঁচ টি নৌযান আটক করা করা হয়। এছাড়াও সরকারী নির্দেশ অমান্য করে অবৈধ জাল ব্যবহার করে মৎস্য সম্পদ ধ্বংস করায় ৫২ জেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সাথী রানী শর্মা আরও জানান, বিশেষ এই অভিযানের দ্বিতীয় পর্যায়ে মৎস্য সম্পদ রক্ষা আইনে নয়টি মামলা ও ১২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
অভিযানের বিষয়ে নৌ পুলিশের প্রধান বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষার্থে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে নৌ পুলিশ এই অভিযান পরিচালনা করছে। দেশের মৎস্য সম্পদকে আরও সমৃদ্ধ করতে নৌ পুলিশের এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’