হোম > সারা দেশ > ঢাকা

যুবলীগের সাবেক সভাপতি সম্রাটের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎

ইসমাইল হোসেন সম্রাট। ফাইল ছবি

অবৈধ অস্ত্র দখলে রাখার দায়ে ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এই রায় ঘোষণা করেন।

ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী শাহাদাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রায় ঘোষণার সময় সম্রাট পলাতক থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়।

ট্রাইব্যুনাল রায়ে বলেছেন, আসামি সম্রাটের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র দখলে রাখার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো।

রায়ে আরও বলা হয়, আসামি গ্রেপ্তার হওয়ার পর বা ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণের পর এই রায় কার্যকর হবে। তবে ইতিপূর্বে এই মামলায় আসামি হাজতবাস করে থাকলে হাজতবাসের সময় তাঁর সাজার মেয়াদ থেকে বাদ যাবে।

২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র‌্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে আত্মগোপনে চলে যান ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। এরপর ৭ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তাঁর সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। সেদিন বিকেলে সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে কাকরাইলের ভূইয়া ট্রেড সেন্টারে তাঁর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। ওইদিন প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অভিযান শেষে গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল, ১১৬০টি ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া এবং ‘নির্যাতন করার’ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পাওয়া যায়।

ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ার কারণে সম্রাটকে তাৎক্ষণিকভাবে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই দিনই রমনা থানায় অস্ত্র আইন ও মাদকদ্রব্য আইনে দু’টি মামলা করেন র‌্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক।

তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর আদালতে অস্ত্র মামলায় অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর এসআই শেখর চন্দ্র মল্লিক।

এ বছর ১৬ জানুয়ারি সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়। বিচার চলাকালে ১০ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলায়।

সম্রাটের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা ঢাকার অন্য দুটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মানি লন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।

উল্লেখ্য, গ্রেপ্তার হওয়ার পর সম্রাট দীর্ঘদিন কারাভোগ করে জামিন লাভ করেন। তবে গতবছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনি আর আদালতে হাজির হননি। এ কারণে প্রত্যেক মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

রাজধানীর তিন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ, মিরপুরে দোকানি আহত

টঙ্গীতে বিকাশকর্মীকে গুলি করে ১৫ লাখ টাকা ছিনতাই, আহত ২

দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ময়লার গাড়ির চালক কারাগারে

র‍্যাবের পোশাকে ডাকাতির নাটক করে লাখ টাকা লুট, গ্রেপ্তার ৬

কেরানীগঞ্জে সাড়ে ১১ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে

কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দীর ঢামেকে মৃত্যু

১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি কেরানীগঞ্জের মার্কেটের আগুন

আমরা প্রাইম টার্গেটকে খুঁজছি: ডিএমপি কমিশনার