যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ত্যাগ না করে একাদশ জাতীয় সংসদে শরীয়তপুর থেকে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি হয়ে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নেওয়ায় পারভীন হক সিকদারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে দুদকে করা এই সংক্রান্ত অভিযোগ আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।
এই সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ ছাড়া তথ্য গোপন করে রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণাকে কেন ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদেরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণা করে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার অভিযোগে ওই এলাকার ভোটার আসিফ সরকার দুদকে আবেদন করেন। এতে ফল না পেয়ে তিনি গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রিট করেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
আইনজীবী সাঈদ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, পারভীন হক সিকদার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকের তথ্য গোপন করে সংসদ সদস্য পদে থাকেন। অযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণা করে সম্মানি, শুল্কমুক্ত গাড়িসহ নানা সুযোগ–সুবিধা ভোগ করেন। এটি ফৌজদারি অপরাধ। এ বিষয়ে রিট আবেদনকারী বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশন ও দুদকে আবেন করেন। সেখানে সাড়া না পেয়ে রিট করা হয়।