নৈতিক স্খলন, শিষ্টাচার বহির্ভূত কার্যকলাপের অভিযোগে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ দেওয়া হয়। পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তারা বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, মহিউদ্দিন ফারুকী বর্তমানে রাঙামাটির বেতবুনিয়া পিএসটিএসএ কর্মরত। এর আগে তিনি পুলিশ সদর দপ্তরে এআইজি সাপ্লাই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ড, নৈতিক স্খলন, শিষ্টাচার বহির্ভূত কার্যকলাপ ও অসদাচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
স্ত্রীকে নির্যাতন, সন্তানকে হত্যা চেষ্টা, সন্তানকে স্বীকার না করা ও সন্তানকে ভরণপোষণ না দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে মহিউদ্দিন ফারুকীর বিরুদ্ধে গত বছর পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী আয়েশা আক্তার মৌ। পারিবারিক আদালত এবং সিএমএম কোর্টে এ দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ফেসবুকের মাধ্যমে মহিউদ্দিন ফারুকী সঙ্গে আয়েশা আক্তার মৌ-এর পরিচয় হয়। পরবর্তী সময়ে সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে সম্পর্ক গভীর হয়। মহিউদ্দিন ফারুকী বিবাহিত এ বিষয়টি তিনি গোপন করেছেন এবং আয়েশার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এ সম্পর্কের জেরে একপর্যায়ে আয়েশা আক্তার গর্ভবতী হন, পরে তাঁর গর্ভপাত করান পুলিশের ওই কর্মকর্তা। পরে মহিউদ্দিন আবারও আয়েশার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায়। আবারও গর্ভবতী হন আয়েশা। একটি কন্যা সন্তান হয় তাদের। এর আগে মহিউদ্দিন ফারুকী আয়েশাকে বিয়েও করে। এ বাচ্চাটিকে পরবর্তী সময়ে মহিউদ্দিন ফারুকী অস্বীকার করে আসছিলেন এবং পরবর্তীতে আয়েশাকে ডিভোর্স দেন।