বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জাপানে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে জাপান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব জাপানিজ ল্যাংগুয়েজ ইনস্টিটিউট ইন বাংলাদেশ (আজলিব)। জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওয়াকিল আহমেদ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, করোনা মহামারির কারণে দুবছর যাবৎ জাপানে পড়তে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা আটকে আছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে ইচ্ছুক ছাড়াও জাপানিজ স্কুল ল্যাংগুয়েজ প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন। দীর্ঘদিনের ভাষা শিক্ষা ও অন্যান্য প্রস্তুতির পরও জাপানে যাওয়া আটকে যাওয়ায় তাঁদের মানসিক চাপ বাড়ছে এবং হতাশায় ভুগছেন।
তাঁরা জানান, সম্প্রতি জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে নিজেদের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপের অংশ হিসেবে নতুন বিদেশিদের আগমনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যা ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে তুলে দেওয়ার কথা থাকলেও আদতে তা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে শিক্ষার্থীরা অনিশ্চয়তায় রয়েছেন।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, জানুয়ারির শেষ দিকে সরকারি বৃত্তি পাওয়া ৮৭ জন বিদেশি শিক্ষার্থীকে জাপান সরকার বিশেষ বিবেচনায় প্রবেশ করতে দিয়েছিল। এ অবস্থায় তাঁরা আজলিবের পক্ষ থেকে জাপান সরকারকে অবহিত করতে চান যে, শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় সকল সুরক্ষা মানতে প্রস্তুত। পর্যাপ্ত টিকা, চিকিৎসকের পরামর্শ, কোয়ারেন্টিন সবকিছু মেনেই জাপানে যেতে শিক্ষার্থীরা আগ্রহী।
ওয়াকিল আহমেদ বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আশাবাদী জাপান সরকার বর্তমানে হতাশাগ্রস্ত, মানসিক চাপে থাকা শিক্ষার্থীদের কথা বিশেষ বিবেচনা করে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আজলিবের সভাপতি নুরুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক মাসুম এবং আটকে পড়া ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের একাংশ।