সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদারের নামে পূর্বাচলে বরাদ্দ দেওয়া ১০০ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এ নির্দেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি জানান, দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়, ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, নামে-বেনামে জনগণের আমানতের অর্থ লুটপাটসহ ঘুষের বিনিময়ে ঋণ দেওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। তিনি অবৈধ সম্পদ অর্জন করে তা দখলে রেখেছেন। এই অভিযোগগুলো দুদক অনুসন্ধান করছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ১৯-নম্বর সেক্টরের ১০০ একর জমি রন হক সিকদারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান পাওয়ারপ্যাক হোল্ডিংয়ের নামে বরাদ্দ দেওয়া। এই জমিতে ১০০ থেকে ১৪২ তলা আইকনিক টাওয়ার নির্মাণ করার অনুমোদন দেয় রাজউক। প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বরাদ্দ দেওয়া হয় তিন হাজার কোটি টাকায়। মাত্র ২৭০ কোটি টাকার একটি কিস্তি দিয়ে ওই সম্পদ নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে দখলে নেন রন হক সিকদার।
দুদক আদালতকে আরও জানিয়েছে, রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই রন হক সিকদারের প্রতিষ্ঠান সেখানে ৩ তলা একটি ভবন নির্মাণ করছিল। তিনি শত কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন ভুয়া তথ্য দিয়ে। আবেদনে আরও বলা হয়, দুদক জানতে পেরেছে রন হক সিকদার ওই সম্পদ বিক্রি করে বা অন্য কোন উপায়ে হস্তান্তর বা স্থানান্তরের চেষ্টা করছেন। এ কারণে তার উক্ত সম্পদ ক্রোক করা একান্ত আবশ্যক।
এর আগে, গত ৯ মার্চ রন হক, তাঁর মা মনোয়ারা সিকদারসহ তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ৪২টি বিও হিসাব (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
এর আগে, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর সিকদার গ্রুপের রন হক, তাঁর মাসহ তাঁদের পরিবারের কয়েকজন সদস্যের নামে থাকা মোট ১৫টি ভবন ও ফ্লোর জব্দের আদেশ দেওয়া হয়। দুই দফায় রন হক শিকদার ও তার পরিবারের সদস্যদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়।