রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কোনাপাড়ায় ফ্রিজের কম্প্রেসর বিস্ফোরণে একই পরিবারের তিনজন দগ্ধের ঘটনায় বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেল দেড় বছরের মেয়ে ফাতেমা আক্তারও। আজ মঙ্গলবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে মারা যায় শিশুটি।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন। তিনি জানান, শিশু ফাতেমার শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আজ সকালে মারা যায় শিশুটি।
গতকাল সোমবার ভোরে শিশুটির বাবা আব্দুল করিম ও মা খাদিজা আক্তার মারা যান।
এর আগে গত বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে যাত্রাবাড়ীর কোনাপাড়া আড়াবাড়ী বটতলার আব্দুল কালামের চারতলা বাড়ির নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে। এরপর দগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে আসা ওই বাসার ভাড়াটিয়া মোহাম্মদ হাসান জানান, রাতে খাদিজা সাহরি রান্না করতে উঠেছিলেন। এরপর চুলা জ্বালাতে গেলে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে বাসার ভেতরে থাকা তিনজন দগ্ধ হন। বিস্ফোরণের শব্দ শুনে দৌড়ে বাসায় গিয়ে তাঁরা দেখেন, জিনিসপত্রে আগুন জ্বলছে। এ সময় ওই তিনজন দৌড়ে বাসা থেকে বাইরে বের হন। পরে তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁরা নিজেরাই আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
মোহাম্মদ হাসান জানান, বাসায় ঢুকে তাঁরা ফ্রিজের নিচের অংশ ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় দেখতে পান। তাঁদের ধারণা, ফ্রিজের কম্প্রেসর বিস্ফোরণে এ ঘটনা ঘটেছে।
খাদিজার বড় ভাই সুরুজ রানা জানান, তাঁদের বাড়ি পাবনার সুজানগর উপজেলার বনাখোলা গ্রামে। তাঁর ভগ্নিপতি আব্দুল করিমের বাড়িও তাঁদের পাশাপাশি। আব্দুল করিম স্ত্রী খাদিজা ও মেয়ে ফাতেমাকে নিয়ে বটতলার ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। কোনাপাড়ায় তাঁর একটি মুদিদোকান রয়েছে।