চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পরীমণি ফেসবুক লাইভে এসে অভিযোগ করেছেন, তাঁর বাসায় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা জোরপূর্বক ঢোকার চেষ্টা করছেন। জীবন নিয়ে তিনি শঙ্কিত। বাঁচার জন্য পরিচিতজনদের কাছে আকুতি জানান পরীমণি।
আজ বুধবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে পরীমণি তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভ শুরু করেন। জানা যায়, এর আধা ঘণ্টা আগে সাড়ে ৩টা নাগাদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাঁর বাসা ঘেরাও করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে লাইভে আসেন পরীমণি।
পরীমণি লাইভে অভিযোগ করেন, তাঁর বাসায় বেশ কয়েকজন লোক ফ্ল্যাটের দরজা ধাক্কাধাক্কি করছেন। কিন্তু তিনি দরজা খুলতে ভয় পাচ্ছেন। তিনি বলেন, ওই ব্যক্তিরা বাসার গেট ভেঙে ওপরে এসে বারবার কলিং বেল বাজাচ্ছেন। পরিচয় জানতে চাইলে তাঁরা পুলিশের লোক বলে দাবি করছেন। যদিও তাদের গায়ে বিভিন্ন রঙের পোশাক থাকায় বিশ্বাস করতে পারেননি যে, তারা পুলিশ।
এমন অবস্থায় পরীমণি বনানী থানায় যোগাযোগ করেছেন বলে লাইভে জানান। তিনি বলেন, বনানী থানা থেকে ফোর্স পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তাঁরা এখনো এসে পৌঁছায়নি। পরীর ভাষ্য, আমি হারুন ভাইকে (মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ) ফোন করেছি। তিনি বলেছেন, তার থানা থেকে কেউ যায়নি। তাহলে আমার বাসার সামনে কারা এসেছে? পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে আমি দরজা খুলব না।
পরীমণি এ সময় বলেন, আমি মরব আর কেউ কিছু বলবে না? মরতে তো একদিন হবেই। আমি এই লাইভ কাটব না। যতক্ষণ না থানা থেকে পুলিশ আসবে, মিডিয়া আসবে ততক্ষণ লাইভ চলবে। ভাই আপনারা কেউ বুঝতে পারছেন আমার অবস্থা? এইখানে কাছেই থানা। অথচ তারা আসছে না। আমার তো তাদের হেল্প লাগবে। তিন দিন ধরে আমি বিছানা থেকে উঠতে পারছি না। আমার পরিচিতরা কই? একটু আসবেন দেখবেন? এরা কারা ভাঙচুর করছে? এসব আল্লাহ সহ্য করবে না। আপনারা কত মানুষ এই লাইভ দেখছেন। কেউ কিছু বলছেন না। আমার বাসায় আমার বুড়ো নানা এসেছেন। আপনারা মিডিয়ার কেউ আসবেন? আমি তো মরে যাচ্ছি।
লাইভে দেখা যায়, পরীমণি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর দরজা খুলেছেন। ততক্ষণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাসার সবার মোবাইল ফোন জব্দ করেছে। পাশাপাশি তারা পরীমণিকে লাইভ বন্ধ করার জন্য বলেন। বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ তিনি লাইভ বন্ধ করেন।
৩১ মিনিট লাইভে ছিলেন পরীমণি। বিকেল চারটা থেকে ছয়টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টার মধ্যেই লাইভটি দেখা হয় ৪০ লাখ ৭০ হাজার বার। শেয়ার করেন ৩১ হাজার জন। আর মন্তব্য পড়ে ২ লাখ ৬৭ হাজার।
আরও পড়ুন