হোম > সারা দেশ > ঢাকা

বিচারের আশা ছেড়ে বাবার চিকিৎসায় মনোযোগ দিয়েছেন সার্জেন্ট মহুয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

একদিকে সারা দেশে উদ্‌যাপিত হচ্ছে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী। অন্যদিকে বিচারের দাবিতে টানা ১৪ দিন ধরে মামলা করতে চেয়েও পারছেন না পুলিশের নারী সার্জেন্ট মহুয়া হাজং। গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতেও নিষেধ করা হয়েছে তাঁকে। হাসপাতালের মধ্যেই বসানো হয়েছে পুলিশি পাহারা। এসবের সঙ্গে আছে বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের নানামুখী চাপ। এ পরিস্থিতিতে ন্যায়বিচারের আশা অনেকটা ছেড়েই দিয়েছেন তিনি। এখন বাবা মনোরঞ্জন হাজংয়ের চিকিৎসায় মনোযোগ দিয়েছেন। 

বনানীতে এক বিচারপতির ছেলের গাড়িচাপায় আহত হন মনোরঞ্জন হাজং। শারীরিক অবস্থার প্রতিদিন অবনতি ঘটছে তাঁর। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মনোরঞ্জন হাজংয়ের মেয়ে মহুয়া হাজং আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলা আজও হয়নি। আপাতত বাবার চিকিৎসার দিকেই মনোযোগ দিয়েছি। তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো না। এখনো আইসিইউতেই রাখা হয়েছে।’ 

মনোরঞ্জন হাজংয়ের স্ত্রী বলেন, ‘ডান পা কেটে ফেলার পর বাম পা-টাও কেটে ফেলার প্রস্তুতি চলছে।’ 

এদিকে মধ্যরাতে বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে নারী পুলিশ সার্জেন্টের বাবাকে চাপা দেওয়ার ঘটনার অভিযোগ গ্রহণ না করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে মানবাধিকার ও নাগরিক সংগঠনগুলোর জোট হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)। মামলা গ্রহণ করাসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। 

বিবৃতিতে ভুক্তভোগী ও তাঁর পরিবারের বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে দ্রুত মামলা গ্রহণ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা; সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও মামলা গ্রহণ না করার জন্য দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা; নারী সার্জেন্ট ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ; মহুয়া হাজংয়ের পেশাগত জীবনে যেন কোনো প্রকার নিরাপত্তাহীনতার সৃষ্টি না হয় তা নিশ্চিত করা এবং আহত মনোরঞ্জন হাজংয়ের সুচিকিৎসার ব্যয়ভার বহনসহ পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে। 

বিবৃতিতে এইচআরএফবির নেতারা বলেন, মনোরঞ্জন হাজং এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। আইনের আশ্রয়লাভের অধিকার প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। একজন পুলিশ হয়েও মহুয়া হাজং এতবার চেষ্টা চালানোর পরও মামলা করতে না পারা থেকে প্রতীয়মান হয়, এ ক্ষেত্রে কোনো প্রভাবশালী পক্ষ ভূমিকা রাখছে। 

ভুক্তভোগীর নৃতাত্ত্বিক কিংবা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পারিবারিক পরিচয় কোনোভাবেই যাতে বিচার লাভের অন্তরায় না হয় তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন নেতারা। 

গত ২ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর বনানীর চেয়ারম্যানবাড়ি সড়কে এক বিচারপতির ছেলের গাড়িচাপায় আহত হন বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত সদস্য মনোরঞ্জন হাজং। পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাঁর এক পা কেটে ফেলেন। সেখানে নয় দিন চিকিৎসার পর অবস্থা আরও খারাপ হলে পঙ্গু হাসপাতাল থেকে শাহবাগের বারডেম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তিনি এখন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।

‘ছোট ভাই প্রোটেকশন বাড়াও’— রাকসু জিএসকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার হুমকি

বিজয় দিবসে তেজগাঁও বিমানবন্দর এলাকায় ড্রোন না ওড়ানোর অনুরোধ

খিলক্ষেত থানার পাশে পুলিশের জব্দ করা বাসে আগুন

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের সদস্যের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

সাভারে থেমে থাকা বাসে আগুন

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

রাজধানীর তিন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ, মিরপুরে দোকানি আহত