রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর রনি মার্কেট এলাকায় একটি বাসায় বৃষ্টি আক্তার (২১) নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পরিবারের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বৃষ্টি।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার হোসেন আলীর মেয়ে বৃষ্টি।
মৃত বৃষ্টির মা মমতাজ বেগম অভিযোগ করে বলেন, দুই বছর আগে আবু বক্কর সিদ্দিকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয় বৃষ্টির। আবু বক্কর রনি মার্কেটের একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করেন। স্বামীর পরিবারের সঙ্গে রনি মার্কেট ৯ নম্বর গলির একটি বাড়িতে থাকতেন বৃষ্টি। বিয়ের পর থেকেই তাঁর ননাস, ননাসের স্বামী ও শাশুড়ি তাঁকে নির্যাতন করে আসছেন। স্বামীর বাধাও মানতেন না তাঁরা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে বৃষ্টি একটি পারলারে কাজ নেন। তবে তাঁর ওপর নির্যাতন বন্ধ হয়নি।
মমতাজ বেগম আরও অভিযোগ করে বলেন, গতকাল শুক্রবার রাত সোয়া ১টার দিকে বৃষ্টি তাঁকে ফোন দিয়ে বলেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে নির্যাতন করছে, তাঁকে রুমের ভেতরে আটকে রেখেছে। এরপর মা মমতাজ বেগম হাজারীবাগের বাসা থেকে দ্রুত কামরাঙ্গীরচরে মেয়ের বাসায় গিয়ে দেখতে পান বৃষ্টি বিছানায় অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। তাঁর পাশে ননাস, তাঁর স্বামী ও শাশুড়ি বসে আছেন। এ সময় তাঁরা দাবি করেন, গলায় ফাঁস দিয়েছিল বৃষ্টি। এরপর তাঁকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান।
কামরাঙ্গীরচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বজলুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বিস্তারিত জানার জন্য স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।’