পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ ও ছিনতাই চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকা জেলা। গত বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) তাঁকে মাগুরা সদর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিন দিনের রিমান্ড শেষে আজ রোববার ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।
বিকেলে আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মীর মো. শাফিন মাহমুদ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম রিয়াদুল ইসলাম ওরফে লায়েক (৩৭)। তিনি মাগুরা সদর থানার বগিতে এলাকার মৃত এরফান মোল্লা ছেলে।
নবাবগঞ্জ থানায় দায়ের করা নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগী এক ব্যবসায়ীর দায়ের করা মামলা তদন্তে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের নেতৃত্বে এক দল পুলিশ অভিযান চালিয়ে রিয়াদুলকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় ব্যবসায়ীর ছিনিয়ে নেওয়া একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
চক্রটির মূল টার্গেট বিকাশ ব্যবসায়ীরা। দিন শেষে বাড়ি ফেরার পথে তাঁরা ব্যবসায়ীদের তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতনের মুখে সবকিছু ছিনিয়ে নিত।
পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মীর মো. শাফিন মাহমুদ জানান, ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাগমারা বাজারে নিজের দোকান শেষে বাড়ি ফেরার পথে ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ীকে পুলিশ পরিচয়ে গাড়িতে তুলে নেয় চার ব্যক্তি। এরপর গামছা দিয়ে চোখ ও রশি দিয়ে হাত বেঁধে নির্যাতন করতে থাকে। নির্যাতনের মধ্যে ভুক্তভোগীর সঙ্গে থাকা দেড় লাখ টাকা, দুটি মোবাইল ফোন, হাতে থাকা স্বর্ণের আংটি এবং দেড় লাখ টাকা মূল্যের রিচার্জ কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এরপর চলন্ত গাড়ি থেকে ওই ব্যবসায়ীকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় গাজীপুরে গার্লস ক্লাব এলাকার নির্জন স্থানে ফেলে যায়।
গ্রেপ্তার রিয়াদুলের বিষয়ে এসপি শাফিন মাহমুদ বলেন, গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে হত্যাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় অন্তত পাঁচটি মামলা রয়েছে। এমনকি হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা অবস্থায় একজনের কাছ থেকে পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইয়ের কৌশল শেখে। এরপর জেল থেকে বেরিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তারা চারজন মিলে ছিনতাই করে আসছিল।