গাজীপুর শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে একটি হাতি মারা গেছে। মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। তবে এসব তথ্য গোপন রেখেছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।
হাতিটি অন্য হাতির সঙ্গে ধাক্কার পর মাথায় আঘাত পেয়ে মারা গেছে বলে জানা গেছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ২১ ডিসেম্বর পার্কের ভেতরে হাতিশালায় হাতিটি মারা গেলেও বিষয়টি কোনো গণমাধ্যমকে এত দিন জানানো হয়নি।
প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত ২১ ডিসেম্বর পার্কের হাতিশালায় একটি পুরুষ হাতি মারা গেছে। হাতিটির বয়স হয়েছিল আনুমানিক ৪৮ বছর। শারীরিকভাবে অনেকটা দুর্বল প্রকৃতির ছিল হাতিটি। ওই দিন হাতিশালার অন্য একটি হাতি ওই হাতিকে ধাক্কা দিয়ে পিলারের ওপর ফেলে দেয়। এতে গুরুতর আঘাত পায় হাতিটি। এর কিছু সময় পরই হাতিটির মৃত্যু হয়।
আমীর হোসাইন আরও বলেন, ‘মৃত হাতিটির ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলেই হাতির মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ছাড়া হাতি মৃত্যুতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।’
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাতি মৃত্যুর ঘটনায় পার্ক কর্তৃপক্ষ শ্রীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে। তাতে মৃত্যুর কারণ হিসেবে হাতিদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক মো. ইমরান হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মৃত হাতিটি পুরুষ ছিল। হাতিদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির কারণে ওই হাতির মৃত্যু হয়েছে। হাতির মৃত্যুর কারণে জানতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সাফারি পার্কে মোট ৯টি হাতি ছিল। এগুলোর মধ্যে ৭টি পুরুষ ও ২টি মাদি। এখন অবশিষ্ট ৮টি হাতির মধ্যে ৬টিই পুরুষ।’
এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক মো. রফিকুল ইসলামের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ১১টি জেব্রা ও একটি বাঘের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। তখনো তথ্য গোপন রেখেছিল পার্ক কর্তৃপক্ষ।