রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কাদেরাবাদ হাউজিং। চার ভাই পরিবারসহ এখানেই থাকেন হেফাজত নেতা মামুনুল হক। কিন্তু রিসোর্ট কাণ্ডের পর থেকে তিনি আর বাসায় ফিরেননি।
বাসাটির কেয়ারটেকার ইকাবাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘটনার দিন সকালে তিনি বাসা থেকে বের হন। এরপর থেকে আর বাসায় ফিরেননি। সবাই বলাবলি করছিল, কোন এক মেয়ে নিয়ে হোটেলে ধরা পড়েছেন। আমি বিশ্বাস করিনি। পরদিন সকালে তার স্ত্রী সন্তানও চলে গেছেন। এখনও তাদের কেউই বাসায় ফিরেননি। বাসায় দুইজন কাজের বুয়া ছাড়া এখন আর কেউ নেই।
মামুনুল হকের বড় ভাই মাহফুজুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাদের পরিবারের কেউই বাসায় নেই। কোথায় গেছেন সেটাও বলতে পারছি না। আমরা তো কারো সঙ্গে কথা তো বলতে পারি না। সে মোবাইলেও কথা বলে না। কথা বললেই তো বিপদ। যা বলবো তাই তো রেকর্ড হয়ে ভাইরাল হবে।
তবে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতাদের দাবি তাদের সঙ্গে মামুনুল হকের সাংগঠনিক বিষয়ে যোগাযোগ আছে। তবে তার অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেননি কেউ।
হেফাজতের সহকারী মহাসচিব সাখাওয়াত হোসেন রাজী আজকের পত্রিকাকে বলেন, পরশুদিন মোহাম্মদপুরের সংগঠনিক একটি মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন মামুনুল হক। তবে তিনি বাসা থেকে এসেছেন না অন্য কোথাও থেকে এসেছেন সে বিষয়টি নিশ্চিত না। সরকার যেভাবে লেগেছে সবার মধ্যেই গ্রেপ্তার আতঙ্ক কাজ করছে।
তবে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলেছেন, হেফাজতের শীর্ষ নেতারা আমাদের নজরদারিতে আছে। অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার পরই গ্রেপ্তার করা হবে।