নারায়ণগঞ্জ শহরের কয়লাঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় এসকেএল-৩ নামের একটি কার্গো জাহাজ। মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া মেঘনা নদী থেকে জাহাজটিকে জব্দ করেছেন কোস্টগার্ড সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) বেলা ১১টায় মুন্সিগঞ্জ কোস্টগার্ড স্টেশনের সদস্যরা জাহাজটিকে জব্দ করা হয়েছে। এসময় আটক করা হয়েছে জাহাজের মাস্টার, ড্রাইভার, সুকানিসহ ১৪ জনকে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা বিভাগের উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, সাবিত আল হাসান লঞ্চটিকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেওয়ার পর দ্রুতগতিতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে কার্গো জাহাজটি। পরে গোপন সংবাদদের ভিত্তিতে জাহাজটির অবস্থান নিশ্চিত করে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু দেখা যায় যে, ওই কার্গোটির রঙ পরিবর্তন করা হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় কার্গোটি যে রঙ ছিল অভিযানের সময়কার কার্গোর রঙয়ের অনেক পরিবর্তন দেখা যায়। ভালো করে লক্ষ্য করলে স্পষ্ট হয় যে, কার্গোটির গায়ের রঙ সম্প্রতি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আটক ১৪ জনসহ কার্গোটি মুন্সিগঞ্জ নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, লঞ্চডুবির ঘটনায় ৩৪ যাত্রীকে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় মামলাটি করেন বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের উপপরিচালক (নৌ নিট্রা) বাবু লাল বৈদ্য।
মামলায় হত্যার উদ্দেশে বেপরোয়া গতিতে পণ্যবাহী জাহাজ চালিয়ে লঞ্চটি ডুবিয়ে ৩৪ জনের প্রাণহানি ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে মামলায় আসামি হিসেবে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি।